সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৫:০৮

সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ১৫ কোটি, সামনে এলো আরেক নতুন তথ্য

সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ১৫ কোটি, সামনে এলো আরেক নতুন তথ্য

বিনোদন ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদ'ন্তে মা'দক যোগ উঠে এসেছে। কিন্তু ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে যে ১৫ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অ'ভিযো'গ করেছেন অভিনেতার বাবা, এখনও পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেননি তদ'ন্তকারীরা। কিন্তু সুশান্তের অ্যাকাউন্টে ওই ১৫ কোটি টাকা জমা নাও পড়ে থাকতে পারে, এমন তথ্য এ বার সামনে এলো।

যে ছবির পারিশ্রমিক বাবদ ওই টাকা পাওয়ার কথা ছিল সুশান্তের, লকডাউনের জেরে সেই ছবির প্রযোজকের সঙ্গে চু'ক্তি আ'টকে যায়। তাই সুশান্তের অ্যাকাউন্টে টাকাও জমা দেওয়া হয়নি বলে ছবির পরিচালক নিজে তাদের জানিয়েছেন, এ বার এমনটাই দাবি করল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ওই পরিচালকের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা গো'পন ক্যামেরায় রেকর্ডিং করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

ছেলের মৃত্যুর জন্য অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই কাঠ'গড়ায় দাঁড় করিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা। রিয়া তার ছেলেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন এবং টাকা আত্ম'সাৎ করেছেন বলেও অ'ভিযো'গ করেছেন তিনি। সুশান্তের অ্যাকাউন্টে যে ১৫ কোটি টাকার হ'দি'শ মিলছে না, তার জন্যও রিয়ার দিকেই আ'ঙুল তুলেছে তাদের গোটা পরিবার। যদিও প্রথম থেকেই এই অ'ভিযো'গ অস্বী'কার করে আসছেন রিয়া। 

সুশান্তের মৃত্যুর পর একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, রুমি জাফরির পরিচালনায় একটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল সুশান্তের। রিয়া জানান, ওই ছবিতে সুশান্তের সাইনিং অ্যামাউন্ট ঠিক হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। তা নিয়ে প্রযোজক বাসু ভাগনানির সঙ্গে পাকা কথাও হয়ে গিয়েছিল। শুটিং শুরুর কথা ছিল মে মাস থেকে। কিন্তু লকডাউনের জেরে আনুষ্ঠানিক চু'ক্তি হয়ে ওঠেনি। তার জেরে ওই টাকাও জমা পড়েনি সুশান্তের অ্যাকাউন্টে। 

এ নিয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে রুমি জাফরির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা হয়। সুশান্তের মৃত্যুতে তাকেও ইতিমধ্যে জে'রা করেছে তদ'ন্তকারী সংস্থাগুলি। ওই সংবাদমাধ্যমকে রুমি সাফ জানান, সুশান্ত এবং রিয়াকে নিয়ে ছবি করার কথা ছিল তার। কিন্তু লকডাউনের জে'রে কোনও চু'ক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। 

রুমির কথায়, ''এক সঙ্গে ছবি করার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম সারির তারকাদেরই ১৫ কোটি টাকা দিতে পারেন না প্রযোজকরা। সাইনিং অ্যামাউন্ট তো পরের কথা। পুরো পারিশ্রমিক হিসেবে ১৫ কোটি টাকা দিতেও কালঘাম ছুটে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো কোনও চুক্তিই স্বাক্ষরিত হয়নি। সে ক্ষেত্রে টাকার কথা আসছে কোত্থেকে? ওর কপাল খারাপ ছিল যে, ওই সময়ই লকডাউনের ঘোষণা হয়।''

রুমি আরও বলেন, ''আপনি পরিচালক হোন বা নায়ক অথবা নায়িকা, সবার আগে টাকার অঙ্কে একমত হতে হয় সকলকে। তবে, একসঙ্গে পুরো টাকা কখনই দেওয়া হয় না। বরং কিস্তিতে কিস্তিতে তা মেটানো হয়। ধরুন আমার সঙ্গে কারও ১০০ টাকার চুক্তি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাইনিং অ্যামাউন্ট হিসেবে প্রথমে ওই ১০০ টাকার ৫ শতাংশ দেওয়া হবে আমাকে। দরাদরি করে বড় জো'র তা ১০ শতাংশ করার চেষ্টা করতে পারি আমি। ছবির প্রোডাকশনের কাজ শুরু হওয়ার আগে বাকি ৫ শতাংশ দেওয়া হবে আমাকে। তার পর শুটিংয়ের প্রথম, দ্বিতীয় শেডিউল, ডাবিং এবং ছবির মুক্তির আগে ধাপে ধাপে বাকি টাকাটা দেওয়া হয়।'' সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে