মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ, ২০২১, ০৬:২৩:৩৩

ইসলাম ধর্মের অনুশাসন পুরোপুরি পালন করতেই হঠাৎঅভিনয় ছেড়েছিলেন প্রয়াত নায়ক শাহীন আলম

ইসলাম ধর্মের অনুশাসন পুরোপুরি পালন করতেই হঠাৎঅভিনয় ছেড়েছিলেন প্রয়াত নায়ক শাহীন আলম

বিনোদন ডেস্ক : ইসলাম ধর্মের অনুশাসন পুরোপুরি পালন করতে হঠাৎ চলচ্চিত্রে অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা শাহীন আলম।
মৃত্যুর কয়েকমাস আগে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন এ চিত্রনায়ক।

বেশ কয়েকবছর কিডনি জটিলতায় ভুগে সোমবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই অভিনেতা। করোনাকালীন সময়ে কঠিন অর্থ সংকটে পড়েছিলেন তিনি। উপার্জনের একমাত্র পথ কাপড়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় সংসারের সদস্যদের খাবার জোগাড় করতেই অসমর্থ হয়ে পড়েন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সপ্তাহে একদিন ডায়ালোসিসসহ ওষুধপত্রের খরচ।

অথচ ঢাকাই সিনেমায় বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ছিল তার। অভিনয় করে দুহাতে কামিয়েছেন টাকা। ২৭ বছরের অভিনয়ের ক্যারিয়ারে দেড়শোর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। রূপালি জগতের বিত্তবৈভব ছেড়ে হঠাৎ ধর্মে কেন ও কীভাবে মনোযোগী হলেন শাহীন আলম?

ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহীন আলম বলেন, আমি তো মুসলমান। পরকালে বিশ্বাসী। আমাকে একদিন না একদিন ওই সর্বশক্তিমানের কাছে ফিরতেই হবে। তখন কী জবাব দেব? একটা মানুষ কত দিন বাঁচে? ধরুন খুব বেশি হলে ১০০ বছর বাঁচব। এরপর তো আল্লাহর কাছে গিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তাই আমি বলব, আগে পরকালের হিসাবের খাতাটা ঠিক রাখতে হবে। এসব বিবেচনা করেই সিনেমা থেকে সরে এসেছি। আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।

অথচ এক সময় এই শাহীন আলমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বয়েছিল অভিনয়ের নেশা। সিনেমাজগত থেকে সরে আসার আরো তিনটি কারণ জানিয়েছিলেন শাহীন আলম। বলেছিলেন, ঢাকাই ছবিতে যখন অশ্লীলতা মহামারী আকার ধারণ করে আর সিনেমাজগতটা নির্মাতার হাতছাড়া হয়ে প্রযোজকদের হাতে চলে যায়, তখন আর অভিনয় চালিয়ে যেতে পারছিলাম না। আমাকে  অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য চাপ দেওয়া হতো। আমি রাজি না হলে পরে দেখতাম কাটপিস জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমার বড়ভাই হজ পালন করে এসে আমাকে অনুরোধ করেন, সিনেমাজগত ছেড়ে দিতে। আমিও পরে উপলব্ধি করি আর কতো। সিনেমা থেকে নিজেকে গুটিয়ে পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি দেখাশোনা শুরু করি।

শাহীন আলমের রূপালি পর্দাকে আর না বলার পেছনে আরও একটি ঘটনা জড়িয়ে আছে। সেটা হলো, তার প্রাণের চেয়ে প্রিয় মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল না করলে শাহীন আলমের একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যা করে। ওই ঘটনার পর পরই বদলে যেতে থাকেন তিনি। নামাজ আদায়ে মনোযোগী হন। আমূল পরিবর্তন  ঘটে তার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে