শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১, ১০:৩২:৫৮

যেভাবে ‘ফাঁ'দে’ ফেলতেন অমি, যে কৌ'শলে নিজেদের রক্ষা করেছিলেন আরো দুই নায়িকা!

যেভাবে ‘ফাঁ'দে’ ফেলতেন অমি, যে কৌ'শলে নিজেদের রক্ষা করেছিলেন আরো দুই নায়িকা!

বিনোদন ডেস্ক: জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিই প্রথম নন, আরো দুই নায়িকাকেও ‘ফাঁ'দে’ ফেলেছিলেন এই তুহিন সিদ্দিকী অমি। অবশ্য তারা নিজেদেরকে শেষ পর্যন্ত র'ক্ষা করতে পেরেছিলেন।

কে এই অমি? নতুন করে আলোচনায় আসেন এই পরীমনি কা'ণ্ডে। এই নায়িকার করা মা'মলায় দুই নম্বর আ'সামি তিনি। এ ছাড়া এই নায়িকাকে ফা'দেঁ ফেলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য একাধিক সূত্র জানায়, অমি বিভিন্ন ক্লাবে বেশ পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। অনেক বছর ধ'রে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে তিনি কাজ করে ঢাকার আশে পাশে জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে তার অঢে'ল সম্প'দ রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে, অমির ফাঁ'দে পড়া ওই দুই চিত্রনায়িকা হেন'স্তার শি'কার হয়েছিলেন। অ'ন্তরঙ্গ ছবি ধারণ করে তাদের ব্ল্যা'কমেইল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ওই দুই চিত্রনায়িকার নাম উল্লেখ করা না হলেও তাদের একজন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন। তিনি ওপার বাংলায়ও সমান জনপ্রিয়। গত দুই বছর ধরে তিনি আর কলকাতায় যাননি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট আরেকজনকে তিনি বিয়ে করলেও তার আর সংসার টেকেনি।

অমির ফাঁ'দে পড়া আরেক নায়িকার মু'ক্তিযু'দ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণ করে বিখ্যাত হওয়া একজন প্রয়াত পরিচালকের হাত ধরে রুপালি পর্দায় আগম'ন ঘ'টেছিল। তিনটি ছবি করেই আলোচিত হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন চলচ্চিত্রে নিয়মিত না। রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তিনি সংসার করছেন।

অমির সঙ্গে ওই দুজন নায়িকার পরিচয় হয়েছিল চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির একজন দাপু'টে পরিচালকের মাধ্যমে। এর মধ্যে একজনকে গত বছরে ঢাকার একটি ক্লাবে নিয়ে যান অমি। সেখানে বিশেষ কৌশলে দুজনের অন্ত'রঙ্গ একটি ছবি তোলেন অমি। এরপর থেকে ওই ছবি দেখিয়ে নায়িকাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যা'কমেইল করার চেষ্টা করেন। পরে কৌ'শলে তিনি র'ক্ষা পান। আরেকজন নায়িকাকে একইভাবে ফাঁ'দে ফেলার চে'ষ্টা করেছিলেন অমি। পরে ওই নায়িকা পুলিশকে বিষয়টি জানানোর হু'মকি দিলে অমি তার পথ থেকে সরে যান। 

মা'মলার তদ'ন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তরার মাফিয়া জগতের বড় নিয়ন্ত্রণ ছিল অমির হাতে। মা'দক ব্যবসা ও নারী পাচা'রের স'ঙ্গে জড়িত অমি নিজের ব্যবসায়িক কাজ হাসিল করতে সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করতেন। নারীদের নিয়ে দেশের বাইরেও ঘুরতে যেতেন। অর্থ ও দামি গিফ'টের মাধ্যমে অনেক নায়িকা, মডেলকে নিজের ক'ব্জায় নিতেন অমি। 

এদিকে মামলার প্রধান সম'ন্বয়কারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিটি বিষয়ে গুরু'ত্ব দিয়ে মামলার তদ'ন্ত করা হচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে