বৃহস্পতিবার, ০৫ আগস্ট, ২০২১, ০৮:১৮:২৩

পরীমনিকে নিয়ে 'প্রথম স্বামী' সৌরভের আশঙ্কায় সত্যি হলো

পরীমনিকে নিয়ে 'প্রথম স্বামী' সৌরভের আশঙ্কায় সত্যি হলো

বিনোদন ডেস্ক : উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন পরীমনির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এবং একদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবেন, এটা সব সময় মনে করতেন তার 'প্রথম স্বামী' কেশবপুরের ফেরদৌস কবীর সৌরভ। পরীমনিকে নিয়ে 'প্রথম স্বামী' সৌরভের আশঙ্কায় আজ সত্যি হলো। ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি বুধবার র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর এ কথা বলেন সৌরভ। 

সৌরভ দাবি করেন, পরে পরীমনির একাধিক বিয়ে হলেও তাদের মধ্যে এখনো তালাক হয়নি। কেশবপুর পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর শাহানা কবির ফাতেমার ছোট ছেলে ফেরদৌস কবীর সৌরভ জানান, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। 

জানা গেছে, ২০১২ সালে সৌরভ তখন ফুটবল খেলোয়াড়। ওই বছর এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলে ঢাকার একটি ক্লাবে ফুটবল খেলার ডাক পান সৌরভ। তখন স্ত্রী স্মৃতিকে নিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান। ঢাকার বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে মিরপুরের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করেন। সেখানে থাকার এক পর্যায়ে মিডিয়ায় জড়িত এক ব্যক্তির নজরে পড়েন স্মৃতি। তাদের মধ্যে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তার বিভিন্ন স্টাইলের ছবি তুলে পত্রিকায় ছেপে তাকে মডেল ও নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি। এরপর শামসুন্নাহার স্মৃতি নাম পাল্টে পরীমনি করেন তিনি। 

পত্রিকায় ছবি ছাপার কিছুদিনের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন পরীমনি। যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে সৌরভের। একদিন মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত সেই ব্যক্তিকে পরীমনি বিয়ে করেছেন বলে জানতে পারেন সৌরভ। এরপর ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে আসেন তিনি। কেশবপুরে এসে ফুটবল ছেড়ে হাতে তুলে নেন গিটার। একসময় তিনি পরিচিতি পান শিল্পী সৌরভ কবির হিসেবে। তার বন্ধুরা তাকে টেনে নেন আওয়ামী রাজনীতিতে। বর্তমান পৌরসভার ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার।

আলাপচারিতায় সৌরভ জানান, তার বাবা জাহাঙ্গীর কবির পুলিশে চাকরি করতেন। বর্তমান তারা কেশবপুরে স্থায়ী হলেও বাবার পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভগিরাথপুর গ্রামে। ওই গ্রামেই নানা শামসুদ্দিন গাজীর বাড়িতে থাকতেন স্মৃতি ওরফে পরীমনি। ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর সৌরভ ওই গ্রামে দাদা হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেখানেই পরিচয় হয় স্মৃতির সঙ্গে। বেশ কিছুদিন সেখানে থাকার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কেশবপুর শহরের পাবলিক ময়দান খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশে ফতেমা মঞ্জিলে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল পৌরসভার এমএমআরও কাজী এম ইমরান হোসেন এক লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ের  রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। বিয়ের কাবিনে (নিকাহনামা) পরীমনি সই করেন শামসুন্নাহার স্মৃতি নামে। ৬ নম্বর ক্রমিকে জন্ম তারিখ ১৫/১২/১৯৯২ লেখা হয়। তবে ৪ নম্বর ক্রমিকে তার স্থায়ী ঠিকানায় পিতা মৃত মনিরুল ইসলাম, মাতার নাম মৃত সালমা সুলতানা, গ্রাম বাকা, পোস্ট ও উপজেলা কালিয়া, জেলা নড়াইল উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে পরীমনির সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তবে তারা কেউ কাউকে এখনও তালাক দেননি বলে সৌরভ জানান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে