সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৬:৩৯:২৭

নায়িকা পরীমনির ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও! আইনি নোটিশ

নায়িকা পরীমনির ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও! আইনি নোটিশ

চিত্র নায়িকা পরীমনিকে লিগ্যাল নোটিশ দিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিজের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সরানোর জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাকে।

ভবিষ্যতে সব ধরনের অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য- যা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার জন্যও বলা হয়েছে নোটিশে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিএফডিসির ঠিকানায় শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিকে এই লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার।  তবে লিগ্যাল নোটিশ হাতে পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরীমনি। নোটিশ হাতে পাওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

নোটিশে বলা হয়েছে, শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি গত ১ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতের তালুতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীমনি মামলার শুনানির জন্য আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। সেদিনও তার হাতের তালুতে আরেকটি অশ্লীল কথা লিখে সবার সামনে তুলে ধরেন। এর পরদিন দিনগত রাতে পরীমনি নিজের ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে পরীমনির হাতে দেখা যায় জ্বলন্ত সিগারেট এবং হাতের তালুতে লেখা রয়েছে সেই অশ্লীল বাক্য। প্রায় অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে পরীমনি লেখেন, ‘সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!’

নোটিশে আরো বলা হয়, পরীমনি তার হাতের তালুতে যে সাইন দেখিয়েছেন, সেটি অত্যন্ত অসম্মানজনক। তার মতো একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর কাছ থেকে প্রকাশ্যে এসব অশ্লীলতা প্রদর্শন কোনোভাবেই কাম্য নয়।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিধায় অনেকেই তার আচার-আচরণ, অঙ্গভঙ্গি, নাচ, পোশাক, চলাফেরা অনুকরণ ও অনুসরণ করে থাকে। ফলে শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির অশ্লীল বাক্য, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য, পোশাক এবং আপনার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা এই আচরণ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। শিশু-কিশোরদের গণ্ডি ছোট থাকে। চোখের সামনে তারা যা দেখে অনায়াসে তা আয়ত্ত করে ফেলে। টেলিভিশন, কম্পিউটার ও মোবাইলে এসব আলোচিত ঘটনার ছবি বারবার ভেসে উঠছে। সেগুলো তারা দেখছে। এর ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কারণ হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ‘ফাক মি মোর’ ও ‘মিডল ফিঙ্গার’-এর ছবি দ্বারা কী বোঝাচ্ছে তা তাদের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে