রামচরণ-আল্লুর পরিবারের ৯ জন মহাতারকাই বক্স অফিসের রাজা

বিনোদন ডেস্ক: আরআরআর সাফল্যের পর রামচরণ ও পুষ্পা'র সাফল্যের পর আল্লু অর্জুন এখন পুরো ভারতীয় সিনেমা জগতে এক সুপরিচিত তারকা। কিন্তু কি জানেন কি তাদের পরিবারের ৯ জনই বিখ্যাত সেলিব্রিটি আছেন, যারা প্রত্যেকেই এক একজন সুপারস্টার। তেলুগু সিনেমায় তারা প্রত্যেকেই বক্স অফিসের রাজা। বছরে শুধু এই পরিবারের অবদানের বক্স অফিসে হাজার কোটি টাকার ব্যবস্যা হয়। চলুন আল্লুর নজরে দেখা নেওয়া যাক তাদের পরিবারের সেইসব সদস্যদের যারা সিনেমা জগতের নক্ষত্র।

আল্লু রামালিঙ্গাইয়া: আল্লু অর্জুনের সুপারস্টার পরিবারের প্রথম সুপারস্টার ছিলেন তার দাদা আল্লু রামালিঙ্গাইয়া। একসময় দক্ষিণী সিনেমার নামী অভিনেতা ছিলেন তিনি। তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে অরবিন্দ এবং সুরেখাই কেবল সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন। আল্লু অরবিন্দ আল্লু অর্জুনের বাবা। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। তবে ছেলেকে নিয়ে একটিও ছবি কখনও পরিচালনা করেননি। 

চিরঞ্জীবী: চিরঞ্জীবীও আল্লু অর্জুনের পরিবারের একজন সদস্য। দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার বলা হয় তাকে। তিনি সম্পর্কে আল্লু অর্জুনের ফুফা ও রামচরণের বাবা। আল্লু ফুফা (পিসি) সুরেখাকে বিয়ে করেছেন চিরঞ্জীবী। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, গায়ক, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী তিনি। চিরঞ্জীবী ভারত সরকারের ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রী ছিলেন।

রামচরণ : চিরঞ্জীবীর ছেলে রামচরণও এখন ইন্ডাস্ট্রির চেনা মুখ। একাধিক সুপারহিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিকে। রাজামৌলির আর আর আর ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ইনি সম্পর্কে আল্লু অর্জুনের তুতো ভাই। ১০০০ কোটির ক্লাবে চলে গেছে 'আরআরাআর'। সেই সেলিব্রেশন পার্টিতেও খালি পায়ে দেখা যায় রামচরণকে। ২৫ মার্চ মুক্তি পেয়েছে রামচরণ এবং জুনিয়র এনটিআর অভিনীত 'আরআরআর'।

পবন কল্যাণ : পবন কল্যাণ চিরঞ্জীবীর ভাই ও রামচরণের কাকা। সেই সূত্রে অল্লু অর্জুনের পরিবারের নিকট আত্মীয় তিনি। ১৯৬৬ সাল থেকে তিনি অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত। তাকে দক্ষিণের সিনেমার পাওয়ার স্টার বলা হয়। পুরো কোনিদেলা কল্যাণ বাবু হলেও নিজেই "পবন" উপাধি ধারণ করে পবন কল্যাণ নামে পরিচিত হয়েছে। তার প্রতিটি সিনেমাই বক্স অফিসে ঝড় তোলে।

চিরঞ্জীবীর ছোট ভাই নগেন্দ্র বাবুর ছেলে বরুণ তেজাও একজন সুপারস্টার। তিনিও আল্লু পরিবারের আত্মীয়। এছাড়া চিরঞ্জীবীর বোন বিজয় দুর্গার ছেলে সাই ধর্ম তেজা দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার। চিরঞ্জীবীর সূত্রেই আল্লু অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ট। এবং আল্লু অর্জুনের বড় ভাই আল্লু সিরিশও একজন অভিনেতা। ২০১৩ সালে ‘গৌরব’ ছবিতে তিনি ডেবিউ করেন। অসংখ্য ফ্যান ফলোয়ার্স রয়েছে তার।

নীহারিকা কোনিডেলা: চিরঞ্জীবীর ছোট ভাই নগেন্দ্র বাবুর মেয়ে নীহারিকা। দক্ষিণ সিনেমার একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। অসংখ্য সিনেমা এবং টেলিভিশনের পর্দার ধারাবাহিকে কাজ করেছেন নীহারিকা। সম্প্রতি হায়দরাবাদের একটি অভিজাত হোটেলের পাবে মাদকপার্টিতে গিয়ে আটক হওয়ার পর আলোচনায় ছিলেন নীহারিকা। যদিও তার বাবা তথা সুপারস্টার নাগা বাবুর দাবি, মেয়ে নির্দোষ। তাকে নিয়ে অযথা জল্পনা করা হচ্ছে।