বিনোদন ডেস্ক: মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে এক ছাদের তলায় বসেছিল বলি তারকার হাট। অনুষ্ঠিত হল ৬৭ তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২২। এবছর সেরা অভিনেতার পুরষ্কার রণবীর সিং ও অভিনেত্রীর পুরষ্কার জিতেছেন কৃতি স্যানন।
ক্যাটরিনা কাইফ, ভিকি কৌশল, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, কৃতি স্যানন, বিদ্যা বালান, তাপসী পান্নু, কিয়ারা আডবানী, করণ জোহর, মালাইকা আরোরা, বরুণ ধাওয়ান থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকারা।
বিগত কয়েকমাসে বলিউডে বেস কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। সুপারহিট হিরোর ছবিও ফ্লপের মুখ দেখেছে আবার দক্ষিণী ছবি তুমুল ব্যবসা করেছে বলিউডে। কার্যত বদলে গেছে সমস্ত হিসাব নিকেশ। অনেক ভালো সিনেমাও সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি বক্স অফিসে।
তারই মাঝে বেশ কিছু ছবি নজর কেড়েছে সমালোচক থেকে শুরু করে দর্শকদের। এবছর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হল সেরার সম্মান। এইট্টি থ্রি ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পেলেন রণবীর সিং। ১৯৮৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের বিশ্বকাপ জেতার গল্প উঠে এসেছে এই ছবিতে।
কপিল দেবের চরিত্রে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন রণবীর। অন্যদিকে মিমি ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর অ্যাওয়ার্ড পেলেন কৃতি স্যানন। অভিনেত্রী হতে চাওয়া এক মেয়ে কীভাবে হয়ে উঠলেন মা, সন্তানের জন্য কেরিয়ারের জলাঞ্জলি দিলেন, সেই গল্পই উঠে এসেছে ছবির চিত্রনাট্যে।
সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক লেডি পেয়েছে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ানা আডবানীর ছবি 'শেরশাহ'। সেরা পরিচালক থেকে শুরু করে সেরা পপুলার চয়েস ছবির পুরষ্কার পেয়েছে 'শেরশাহ'। কিংবদন্তি পরিচালক সুভাষ ঘাইকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টে সম্মানিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্রিটিক চয়েস অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পান ভিকি কৌশল।
সেরা অভিনেতা (ক্রিটিক): ভিকি কৌশল (সর্দার উধম)। সেরা অভিনত্রী (ক্রিটিক): বিদ্যা বালান (শেরনি)। সেরা পরিচালক: বিষ্ণু বর্ধন (শেরশাহ)। সেরা ছবি (পপুলার): শেরশাহ। সেরা ছবি (ক্রিটিক): সর্দার উধম। সেরা সহ-অভিনেতা: পঙ্কজ ত্রিপাঠি (মিমি)।
সেরা সহ-অভিনেত্রী: সাই তামহাঙ্কর (মিমি)। সেরা গল্প: অভিষেক কাপুর, সুপ্রতীক সেন এবং তুষার পরাঞ্জপে (চণ্ডীগড় কারে আশিকি)। সেরা সংলাপ: দিবাকর ব্যানার্জি এবং বরুণ গ্রোভার (সন্দীপ অর পিঙ্কি ফারার)। সেরা চিত্রনাট্য: শুভেন্দু ভট্টাচার্য এবং রিতেশ শাহ (সর্দার উধম)।
সেরা মৌলিক গল্প: চণ্ডীগড় করে আশিকি। সেরা নবাগত অভিনেতা: এহান ভাটফর (৯৯ সংস)। সেরা নবাগতা: বান্টি অর বাবলি 2 (শরওয়ারি ওয়াঘ)। সেরা ডেবিউ পরিচালক: সীমা পাহওয়া (রামপ্রসাদ কি তেহরভি)। সেরা মিউজিক অ্যালবাম: তানিষ্ক বাগচি, বি প্রাক, জানি, জসলিন রয়্যাল, জাভেদ-মহসিন, বিক্রম মন্ট্রোজ (শেরশাহ)।
সেরা গীতিকার: কৌসর মুনির (লেহরা দো '83)। সেরা প্লেব্যাক গায়ক: বি প্রাক (মন ভরিয়া 2.0- শেরশাহ)। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা: আশিস কৌর (রাতা লাম্বিয়া-শেরশাহ)। সেরা অ্যাকশন: স্টিফান রিখটার এবং সুনিয়েল রড্রিগস (শেরশাহ)। সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর: শান্তনু মৈত্র (সর্দার উধম)।
সেরা কোরিওগ্রাফি: বিজয় গাঙ্গুলি (অতরঙ্গি রে-চাকা চাক)। সেরা সিনেমাটোগ্রাফি: অভীক মুখোপাধ্যায় (সর্দার উধম)। সেরা পোশাক: বীরা কাপুর (সর্দার উধম)। সেরা সম্পাদনা: এ শ্রীকর প্রসাদ (শেরশাহ)। সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন: মানসী ধ্রুব মেহতা, দিমিত্রি মালিচ (সর্দার উধম)।
সেরা সাউন্ড ডিজাইন: দীপঙ্কর চাকি ও নীহার রঞ্জন সামল (সর্দার উধম)। সেরা ভিএফএক্স: বোজেপি মেইন রোড পোস্ট এনওয়াই ভিএফএক্সওয়ালা এডিট এফএক্স স্টুডিও (সর্দার উধম)। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড: সুভাষ ঘাই।