বিনোদন ডেস্ক : একসময় সিনেমার পর্দায় নায়করাজ রাজ্জাককে কাঁদতে দেখেছেন সিনেমা পাগল দর্শকরা। চরিত্রের প্রয়োজনে রাজ্জাকের কান্না কাঁদিয়েছে বাংলার লাখো দর্শককে। কিন্তু এবার বাস্তবেই নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেন সবাইকে। তার ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে এফডিসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেঁদে ফেলেন নায়করাজ রাজ্জাক।
আজ শনিবার বিকেলে এফডিসির পরিচালক সমিতিতে তার জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে অনেকদিন পর এসেছিলেন এই অভিনেতা। রাজ্জাকের সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্র বাপ্পারাজ, সম্রাট এবং তার নাতনি। রাজ্জাকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন পরিচালক, প্রযোজকসহ চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট আরো অনেকে। পরিচালক সমিতির এ আয়োজনে উপস্থিত সবাই রাজ্জাককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
নায়করাজ রাজ্জাক তার চলচ্চিত্র জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। রাজ্জাকের কান্নায় পাশে বসা নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেন, অভিনেতা হাসান ইমাম, চিত্রগ্রাহক আফজাল এইচ খানসহ অনেককেই চোখ মুছতে দেখা যায়।
রাজ্জাক বলেন, সারাটা জীবন আমি চলচ্চিত্র নিয়ে থেকেছি। এ পেশাকে ভালোবেসে আমার দুই ছেলেকেও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছি। চলচ্চিত্র আমাকে ‘রাজ্জাক’ বানিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আমাকে যে পরিমাণ ভালোবাসেন তা চলচ্চিত্রের কারণেই। আজ অনেকদিন পর আমি এফডিসিতে এলাম। এফডিসিতে এলে আমার খুব কান্না পায়। যে এফডিসি একসময় খুব সরগরম ছিল, সেই এফডিসি এখন অনেকটাই নিষ্প্রাণ।
রাজ্জাক বলেন, আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি, আসুন আবার আমরা এফডিসিকে চাঙা করে তুলি। ফ্লোরগুলো সিনেমার শুটিং দিয়ে জমজমাট করে রাখি। সবাই এক হয়ে কাজ করি।
তিনি বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে গেলে চলচ্চিত্রের এখনকার এ অবস্থা আর থাকবে না। এখন আমার বয়স হয়েছে। সব সময় আসাও সম্ভব না। আমি কথা দিচ্ছি, যখনই আপনারা আমাকে ডাকবেন, আমি অবশ্যই চলে আসব। শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমি এফডিসির হয়েই থাকব।
কথা বলতে বলতে রাজ্জাকের গলা ভারী হয়ে আসে। অনুষ্ঠানস্থলে অন্যরকম এক আবহের সৃষ্টি হয়। রাজ্জাকের আবেগাপ্লুত অবস্থা দেখে উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি রাজ্জাক আজ ৭৫ বছরে পা রাখলেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
২৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম