বিনোদন ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকে বাংলা এবং ওড়িয়া ছবিতে চুটিয়ে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছেন রচনা ব্যানার্জী। তবে এখন তিনি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রিয়ালিটি শোয়ের সঞ্চালিকা হিসাবে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার ঘরে ঘরে।
বাংলার দিদিদের জীবন যুদ্ধ জয়ের গল্প উঠে আসে এই শোয়ে। দর্শক মহলে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বেশ কয়েক বছর আগে একটি জনপ্রিয় টকশো ‘অপুর সংসার’ হাজির হয়েছিলেন রচনা। সেই শোয়ের সঞ্চালক ছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
সেখানেই নিজের জীবনের গল্প শোনান অভিনেত্রী। ঝুমঝুম থেকে কীভাবে রচনা হয়ে উঠলেন তিনি, সেই কাহিনীও শুনিয়েছেন এই শোয়ে। মিস ক্যালকাটা হয়ে মডেলিং জগতে প্রবেশ করেন তিনি। সেখান থেকেই ছবির ডাক পান তিনি। পরিচালক সুখেন দাসের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান ঝুমঝুম।
পরিচালকই ঝুমঝুমের নাম বদলে রেখে দেন রচনা। তবে শুধু এই ঘটনাই নয়, একইসঙ্গে শাশ্বতর প্রশ্নের উত্তরে নিজের সম্পর্কে বেশকিছু অজানা তথ্য শেয়ার করেন তিনি। শাশ্বত রচনাকে প্রশ্ন করেন মা হিসেবে রচনা নিজেকে কত নম্বর দিতে চান? উত্তরে রচনা বলেন, “আমি মা হিসেবে নিজেকে দশে সাত দেব। আরও একটু কম দিলেও মন্দ হয় না।”
ছেলে প্রণীলকে নিয়ে একাই থাকেন রচনা। তবে ছেলের দায়িত্ব একসঙ্গেই সামলান তিনি ও তার স্বামী প্রবাল বসু। স্ত্রী হিসাবে নিজেকে তিনি শূণ্য দেবেন। রচনা বলেছেন, “বউ হিসেবে নিজেকে দশে শূন্য দেব। তার কারণ আমার মনে হয় বউ হওয়ার জন্য, সংসার করার জন্য, প্রকৃত গৃহিণী হওয়ার জন্য যে গুণগুলো থাকার প্রয়োজন সেগুলো আমার মধ্যে নেই।”
তিনি আর বলেন, “আমরা যারা অভিনয় করি তাদের অভিনয় জগতেরই কারোর সঙ্গে ঘর বাঁধা উচিত বা তিনি অভিনয় পেশার সঙ্গে যুক্ত না হলেও অভিনয় পেশাটাকে অন্তত বুঝবেন এমন মানুষ যেন হন। কারণ আমাদের পেশাটা অন্য পেশার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অনেক বেশী অ্যাডজাস্ট করতে হয়।”