বিনোদন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাগানানে আজ ভোরে গু'লিতে নিহ'ত ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়া। তার স্বামী প্রকাশ আলবেলাকে রাজাপুর থানায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মৃ'ত অভিনেত্রীর স্বামীর বক্তব্যের অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, যা তদ'ন্তকারীদের ভাবাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃ'ত অভিনেত্রীর স্বামীর বয়ান অনুযায়ী যেখান ঘটনাটি ঘটেছে তার থেকে ৫০ মিটার দূরে ট্রাফিক পুলিশের একটি কিয়স্ক রয়েছে। সেখানে সর্বদা পুলিশকর্মীরা থাকেন, তাহলে প্রকাশ কেন সেখানে সাহায্য চাইতে গেলেন না?
প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ঠিক পাশে একটি কারখানায় তিনি সাহায্য চাইতে গেলেও তাকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। এই দাবি নিয়ে মনে সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের। হাওড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলোকনন্দা ভাওয়ালের নেতৃত্বে ঘটনার পুর্ননির্মাণের জন্য প্রকাশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর পাশাপাশি বয়ানে তিনি যে কারখানার কথা বলেছেন, সেখানে গিয়েও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এই মুহূর্তে হাওড়া পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়ার উপস্থিতিতে রাজাপুর থানায় প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের আরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় সন্দেহ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, যদি সত্যিই গু'লি চালনার ঘটনা ঘটে থাকে তবে গাড়িতে কেন কোনও গুলির চিহ্ন নেই। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য প্রকাশের গাড়িটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রকাশ দাবি করেছিলেন, গাড়ি থেকে নেমে প্রস্রাব করতে নেমেই তিনি দেখতে পান সাদা গাড়ি নিয়ে তিনজন এসে গাড়ি থেকে ছিনতাই করতে যায়, তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতেই তাকে গু'লি করা হয়েছে।
কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি দোকানে গিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন প্রকাশ। সেই দোকানদারদের দাবি, গাড়িতে হলুদ টি-শার্ট ও নীল জিন্স পরিহিত মহিলাকে স'ন্দে'হজনক অবস্থা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের প্রশ্ন, যে সময় প্রকাশ ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, তখন রাস্তায় যথেষ্ট লোকজন থাকে, এত কিছু ঘটল কিন্তু কারও চোখে কিছু পড়ল না?
অন্যদিকে প্রকাশ জানিয়েছেন, 'নাচের পোশাক কেনার জন্য কলকাতার শ্রীরাম আর্কেড যাচ্ছিলাম। আমি টয়লেট করতে যাওয়ার সময় সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায় এবং তিনজন নেমে আমাদের গাড়ি থেকে কোনও কিছু নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আমার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকেন। আমি গিয়ে দেখি সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাস্তায় দু'জন পুলিশের পা ধরে সাহায্য চেয়েছিলাম কিন্তু, তারা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। আমার কোনও শত্রু রয়েছে বলে জানা নেই, থাকতেও পারে।'