বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের দেব-সায়নী

বিনোদন ডেস্ক:  'প্রজাপতি' সিনেমা বিতর্কে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পাশেই দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ ও ঘাটাল থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দীপক অধিকারি ওরফে দেব। 

দেব-মিঠুনের 'প্রজাপতি' ছবি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, এবার সেই ইস্যুতে বুধবার মুখ খোলেন সায়নী। তার কথায় মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও অভিনেতা মিঠুনকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা তার নেই। এদিন, পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে সুকান্ত মঞ্চে যুব সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বলেন সায়নী ঘোষ। 

দেব ও মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত 'প্রজাপতি' ছবিটি নন্দনে জায়গা না পাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। মিঠুন চক্রবর্তীর নাম যেহেতু বিজেপির সঙ্গে জড়িয়ে সেই কারণেই 'প্রজাপতি' নন্দনে জায়গা পায়নি, এমনটাই দাবি করে বিজেপি। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের কারণেই ব্যর্থ হয়েছে প্রজাপতি'। 

কুণাল আরও বলেন, ‘দেব অত্যন্ত ভালো ছেলে। নিজের মুখে এই কথা বলতে পারেনি, তাই এড়িয়ে গেছে। দেব ভালো ছবি করে, আমার থেকে সিনেমা বেশি বোঝে। কিন্তু সবাই যদি বেশি বোঝে তাহলে সিনেমা ফ্লপ কেন হয়? তাই সবার মতামত জেনে নেওয়া ভালো।'

কুণাল ঘোষের বক্তব্যের পরেই কড়া জবাব দেন অভিনেতা দেব। অভিনেতা বলেন, 'এটা কুণালদার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেখানে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু প্রযোজক হিসাবে যদি বলি যে, ২৩ তারিখ ছবিটা রিলিজ করেছে। এখনও হাউজফুল চলছে। বিশাল ছবি হওয়ার পথে আছে।'

দেব বলেন, "আমি বিজেপি, তৃণমূল সবাইকে বলব, বিতর্ক তৈরি করবেন না। বিতর্ক করলে মানুষ ভয় পেয়ে যাবে। ছবিটা দেবের জন্য হোক বা মিঠুনদার জন্য, ছবিটা যেন হিট হয়। কাউকে উত্তর দেওয়ার জন্য বলছি না, কিন্তু  প্রয়োজনে আবার মিঠুনদাকে নেব।" 

বর্ষিয়ান অভিনেতা মিঠুনের পক্ষ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেব আর বলেন, “মিঠুনদাকে স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী প্রয়োজন পরলে আবারও নেব। উনি হ্যাঁ বা না বলতে পারেন ওঁর ইচ্ছা অনুযায়ী। মিঠুনদার অভিনয় নিয়ে অন্তত আমার দলের বাকিদের চুপ থাকা উচিত।”

সায়নী ঘোষ বলেন, 'এটা দেব আর কুণাল ঘোষ, দুজনের বিষয়। কুণাল ঘোষ আমাদের দলের মুখপাত্র, উনি যা বলেন, ভেবে বলেন। আর দেব আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ, অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দেব নিজের কাজ ভালো মতোই করেন। তাদের মধ্যে যদি কোনওরকম মতো বিরোধ হয়, সেটা তারাই সামলাবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আর মিঠুন চক্রবর্তীর বিষয়ে আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ওর আমি বিরোধিতা করলেও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কথা বলার যোগ্যতা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের নেই।”