বিনোদন ডেস্ক: ২০২২ সালটা ‘বয়কট বলিউড’ ট্রেন্ড ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে হিন্দি ছবির জগৎকে। একে-একে অনেক ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। আমির খান অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’ সেই তালিকায় অন্যতম নাম। এখন নিশানায় শাহরুখ খানের কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’।
বৃহস্পতিবার ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলিউডের কিছু তারকা। সেই বৈঠকেই অভিনেতা সুনীল শেট্টি তাকে অনুরোধ করেছেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতি মানুষের এই ঘৃ'ণাকে নি'র্মূ'ল করতে যোগী আদিত্যনাথ যেন কোনও পদক্ষেপ করেন।
তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও বিষয়টা তুলে ধরেন। দুদিনের ঝটিকা সফরে মুম্বই এসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই সময় তিনি দেখা করেন ৯০-এর দশকের তারকাদের সঙ্গে। আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন সুনীল শেট্টি, জ্যাকি শ্রফ, রাজকুমার সন্তোষী, সুভাষ ভাই, মনমোহন শেট্টি, বনি কাপুর, প্রমুখ।
নয়ডা ফিল্ম সিটিতে শুটিং সংক্রান্ত বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে তৈরি হওয়া মানুষের রোষ সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেন সুনীল। তিনি আর্জি জানিয়ে বলেছেন, “হ্যাশট্যাগ বয়কট বলিউড সম্পর্কে আমি কথা বলতে চাই। আপনি চাইলে কিছু বলে এটা থামাতে পারেন। আমরা ভাল কাজ করছি।”
এরপর সুনীল শেট্টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহায্য নেওয়ার আর্জিও জানান। সুনীল আরও বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে মানুষের মনে এত ঘৃণা দেখলে খুব কষ্ট হয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ৯৯% মানুষই খুব ভাল। প্লিজ় যোগীজি আপনিই নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে কিছু বলুন।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বনি কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, গোরক্ষপুরের লোকসভা সাংসদ তথা অভিনেতা রবি কিষাণ, ভোজপুরী অভিনেতা তথা আজমগড়ের সাংসদ দীনেশ লাল যাদব নিরহুয়া, সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগম, কৈলাশ খের, প্রযোজক-পরিচালক চন্দ্র প্রকাশ দ্বিবেদী, মধুর ভান্ডারকর ও রাজকুমার সন্তোষী সহ প্রমুখ বিশিষ্টজন।
বলিউড অভিনেতা ও প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা আপনাদের ফিল্মি দুনিয়ার দুই সদস্যকে সাংসদ বানিয়েছি। আমরা জানি আপনারা কী কী সমস্যার মুখে পড়েন এবং তার সমাধানে কী কী করার প্রয়োজন। সমাজকে একজোট করতে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও একতা বজায় রাখতে সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
আগামী মাসে উত্তর প্রদেশে যে ইনভেস্টর সামিট রয়েছে, তাতেও বলিউডের অভিনেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, প্রদেশ সরকারের ফিল্ম নীতি অনুযায়ী, যদি কোনও ওয়েব সিরিজ উত্তর প্রদেশে শ্যুটিং হয়ে থাকে, তবে করের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। স্টুডিও ও ফিল্ম ল্যাবে তৈরি করলেও সেক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।