শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৪৮:০৪

দুঃসংবাদ জানতে পেরে নিজের মৃত্যুই চেয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত!

দুঃসংবাদ জানতে পেরে নিজের মৃত্যুই চেয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত!

বিনোদন ডেস্ক: ক্যানসার থাবা বসালে পরিবারে দাগ রেখে যায়। মা যকৃতের ক্যানসারে মা'রা গিয়েছিলেন। তাকে চোখের সামনে তিলে তিলে শেষ হতে দেখেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। তারপর স্ত্রী রিচা শর্মা! তিনিও মস্তিষ্কের ক্যানসারের বলি হন। 

তাই নিজের যখন ক্যানসার ধরা পড়ল, সঞ্জয় অত্যন্ত নিস্পৃহ হয়ে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, এই সুযোগ, মৃত্যু এলে আসুক না! ২০২০ সাল। ‘শমশের’র শুটিং চলছে। তখনই সঞ্জয় জানতে পারেন তার ক্যানসার হয়েছে। একটুও বিচলিত হননি। কাজ করতে লাগলেন চুপচাপ। 

তারপর ছবির প্রচারে এসে নিজমুখেই জানিয়ে ছিলেন, মারণরোগ আবার বাসা বেঁধেছিল, কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। চিকিৎসকের কাছেও যেতে চাননি। দুঃসংবাদ জানতে পেরে নিজের মৃত্যুই চেয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত! যদিও তার বোন প্রিয়াঙ্কা দত্ত দায়িত্ব নিয়ে সব কিছুর ব্যবস্থা করান। 

তাই প্রাণে বেঁচে যান সঞ্জয়। ল'কডা'উন চলছে তখন। কোনও এক অলস দুপুরে স্নান সেরে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন ‘মুন্নাভাই’। হঠাৎ বোন প্রিয়াঙ্কা এসে দাদাকে দুঃসংবাদ দেন। স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট বলছে ক্যানসার হয়েছে সঞ্জয়ের। শুনে কিছু ক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকেন তিনি, তার পরই ঝেড়ে ফেলেন। পরে দফায় দফায় আরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা। 

এক্স রে রিপোর্ট আসতে দেখা গেল, ফুসফুসের অর্ধেক পানিতে ভর্তি। পরিবারের আশা ছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যানসারই। ২০২০ সালের আগস্টে সঞ্জয় লিখেছিলেন, ‘‘আমার ছেলে-মেয়েদের সব থেকে ভাল উপহার দিতে চলেছি। নিশ্চিত ভাবে বেঁচে ফিরব আমি।’’

সঞ্জয় ভেবেছিলেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু ভিসা পাননি। পরে অভিনেতা হৃতিক রোশনের বাবা, অভিনেতা-প্রযোজক রাকেশ রোশন ভাল এক ক্যানসার বিশেষজ্ঞের খোঁজ দেন। সঞ্জয় হেসে বলেন, যখন ডাক্তার তাকে চুল পড়া এবং বমির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।তখন তিনিও বলেছিলেন ‘‘মেরেকো কুছ না হোগা।’’ 

শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বার কেমোথেরাপির পরে রোজ এক ঘণ্টা বসে বসে সাইকেল চালাতেন অভিনেতা। দুবাইয়ে কেমোথেরাপি নিতেন। তারপরে দু’তিন ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেলতেন। বর্তমানে ‘গুরচাদি’ ছবির জন্য কাজ করছেন অভিনেতা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে