বিনোদন ডেস্ক: বিতর্ক চলছে চলুক। কিন্তু বিতর্ককে এড়িয়ে অগ্রিম বুকিংয়েই রেকর্ড গড়ছে শাহরুখের পাঠান। বেশরম রং গান এবং দীপিকার গেরুয়া বিকিনি নিয়ে যা হইচই, তার থেকেও বেশি যেন এই ছবি দেখার জন্য উত্তেজনা।
ঠিক এরই মাঝে ছবি মুক্তির কয়েকদিন আগে পাঠান বিতর্কে ঢুকে পড়লেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি সামলাতে দলীয় কর্মীদের ‘অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক’ তৈরি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছবি নির্মাতা থেকে শুরু করে ছবির সঙ্গে যুক্ত অন্য কলাকুশলীরা। তবে মোদির এই বক্তব্য নিয়ে খুব একটা খুশি নন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। তার কথায়, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে পদক্ষেপ নিতে!
বলিউডের একের পর এক ছবি নিয়ে বয়কটের ডাক। সেই সব প্রসঙ্গ তুলে অনুরাগ বলেন, ‘‘৪ বছর আগে এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল, এখন পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। যে জনতা শুধু ঘৃণা করতেই ব্যস্ত, কুসংস্কার যাদের শক্তি, নীরবতা তাদের অন্যতম অ'স্ত্র। এখন এই নিষে'ধা'জ্ঞা জারি করে কোনও লাভ নেই।’’
মুক্তির আগে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়েছে ‘বয়কট পাঠান’। সেই ট্রেন্ডিংয়ে গা ভাসাতে দেখা গিয়েছে রাম কদম, নরোত্তম মিশ্রর মতো সর্বভারতীয় বিজেপি নেতাদেরও। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির পরামর্শ, ফিল্ম নিয়ে অযথা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য না করার।
কোনও বিশেষ ছবির নাম না করলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে শাহরুখ-দীপিকার নতুন ছবি প্রসঙ্গেই যে মোদির এহেন পরামর্শ, সেব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। এক সূত্রের তেমনই দাবি। ঠিক কী বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
সূত্রের দাবি, দিল্লিতে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই এই বিষয়ে কথা বলেছেন মোদি। তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “কিছু মানুষ কিছু ছবি নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। আর সেগুলো সারাদিন ধরে টিভি ও মিডিয়াতে দেখানো হচ্ছে।” এরপরই তার নির্দেশ এই ধরনের ‘অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য’ থেকে বিরত থাকার।