শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:২২:৫৩

নেশায় ডুবে থাকতেন, একজন মানুষই বদলে দিয়েছেন রজনীকান্তকে

নেশায় ডুবে থাকতেন, একজন মানুষই বদলে দিয়েছেন রজনীকান্তকে

বিনোদন ডেস্ক: ম'দের নেশায় ডুবে থাকতেন। দিনে ক'টা যে সিগারেট পোড়াতেন তার হিসেব ছিল না। আমিষ ছাড়া খাবার মুখে উঠত না। এমনই জীবন কাটাতেন কিন্তু একজন মানুষই বদলে দিয়েছেন রজনীকান্তকে। এতদিনে সে কথা জানালেন দাক্ষিণাত্যের থালাইভা।

ওয়াই জি মহেন্দ্রণের নাটের ৫০ দিন উদযাপনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। সেখানেই একথা জানান। পাশাপাশি মহেন্দ্রণকে ধন্যবাদও জানান তিনি। কারণ তার জন্যই জীবন বদলে দেওয়া মানুষটির দেখা পেয়েছিল দক্ষিণের মেগাস্টার। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রজনীকান্ত জানান, কন্ডাক্টার হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই যথেচ্ছ ধূ'মপান ও ম'দ্যপান করতেন। কোনও হিসাব থাকত না। অভিনেতা হওয়ার পরও এই অভ্যাস রজনীকান্ত ছাড়তে পারেননি।

বর্ষীয়ান অভিনেতা জানান, ম'দ ও সি'গারে'ট ছাড়া তার একটি দিনও চলত না। এর পাশাপাশি দুইবেলা পারলে তিন বেলাই আমিষ খাবার খেতেন। কিন্তু তার এই বদ অভ্যাস পালটে দেন স্ত্রী লতা। তাকে সুস্থ শরীরের মূল্য বোঝান।

রজনীকান্ত জানান, ম'দ, মাংস আর সিগারেট, এই তিনটে একসঙ্গে চলতে থাকলে শরীর মা'রা'ত্ম'কভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ষাট বছর বয়সের পর। ভাগ্যিস মহেন্দ্রণ তাকে লতার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। না হলে যে কী হত কে জানে? হাসিমুখে বলেন সুপারস্টার।

১৯৫০ সালে বেঙ্গালুরুর মারাঠি পরিবারে জন্ম রজনীকান্তের। জন্মসূত্রে তার নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। বাড়িতে মারাঠি ভাষা বললেও বাইরে কন্নড় ভাষায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন রজনীকান্ত। সংসারের হাল ধরতে কখনও কুলির কাজ করেছেন, কখনও বাস কন্ডাক্টার হিসাবে কাজ করেছেন। পরে মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। 

সেখানে পড়াশোনার সময়ই পরিচালক কে বালাচান্দেরের নজরে পড়ে যান। তার পরিচালিত তামিল ছবি ‘অপূর্ব রাগানাঙ্গাল’ দিয়েই সিনেমার জগতে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। তারপর দশকের পর দশক ধরে চলমান চিত্রে নিজের একাধিপত্য বিস্তার করেছেন। 

শুধু দক্ষিণী সিনেমা নয় হিন্দি সিনেমার জগতেও নিজের প্রতিভার পরিচয় রেখেছেন। ২০২১ সালে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছেন রজনীকান্ত। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয় দাক্ষিণাত্যের থালাইভা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে