রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:১১:০৮

শাহরুখের 'পাঠান' দেখতে কলকাতায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা!

শাহরুখের 'পাঠান' দেখতে কলকাতায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা!

বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘ ৪ বছর পর মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের সিনেমা। বুধবার সকাল থেকে এই ছবি নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়েছে সারা দেশে। কলকাতায় শাহরুখ খান ফ্যান ক্লাব দুই হাত খুলে স্বাগত জানিয়েছে তাদের পর্দার কিংকে। 

একদিনে এই ছবি ব্যবসা করেছে ৫৫ কোটি, যা ভারতীয় সিনেমার প্রথমদিনের বক্স অফিস কালেকশনের নিরিখে ইতিহাস রচনা করেছে। দীর্ঘ বিরতির পর প্রিয় তারকার প্রত্যাবর্তন দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বজুড়ে শাহরুখ ভক্তরা। 

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের শাহরুখ ভক্তরাও ভুগছে ‘পাঠান’ জ্বরে। কিন্তু বাংলাদেশে আটকে গেছে এই ছবির রিলিজ। তাই বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছেন অনেক সিনেমপ্রেমীই। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা নিরবও। 

শাহরুখের 'পাঠান' দেখতে কলকাতায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। তবে একা নন, সঙ্গে তিন বন্ধুকে নিয়ে সিনেমা মুক্তির আগের দিন ছুটে এসেছেন কলকাতায়। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, প্রেক্ষাগৃহে বসে মুক্তির প্রথম দিনেই রুপালি পর্দায় বলিউড বাদশার প্রত্যাবর্তন দেখা। কিন্তু অগ্রিম বুকিংয়েই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল ‘পাঠান’-এর টিকিট। 

কলকাতায় যে উন্মাদনা চলছে, তাতে প্রথম দিনে অনেকেই টিকিট পাননি। নিরবও টিকিট পাননি। তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র তিনি নন। সারাদিন টিকিটের খোঁজে ঘুরে অবশেষে পার্কসার্কাস এলাকার এক মাল্টিপ্লেক্সে রাত সাড়ে ১১টার একটি শোয়ের টিকিট পান তিনি।  

সিনেমা দেখে উচ্ছ্বসিত নিরব বলেন, ‘এটা জীবনের অন্যতম একটা সেরা ছবি দেখার সৌভাগ্য হল। প্রথমে ভেবেছি প্রথমদিনে বুঝি শোয়ের টিকিট আর পাবই না। অবশেষে ব্ল্যাকে আড়াই হাজার টাকায় টিকিট পাই, তাও রাত সাড়ে ১১টার শো। এই যে কষ্ট, টাকা, কালোবাজারি- সব মুছে গেল সিনেমাটি দেখে। দুর্দান্ত এক চলচ্চিত্র। এতে সব আছে। আপনি এই ছবি যত কষ্ট আর যত টাকার বিনিময়েই দেখবেন, পয়সা-শ্রম উসুল হবেই।’ 

তবে নিরব একা নন, ঢাকা থেকে অনেক সিনেপ্রেমীই শুধুমাত্র পাঠানের টানে উড়ে এসেছেন কলকাতায়। সাফটা চুক্তির আওতায় সম্প্রতি বলিউডের ‘পাঠান’ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল পরিবেশক ও প্রযোজনা সংস্থা। তবে এখনও বাংলাদেশে “পাঠান” মুক্তির অনুমতি পাওয়া যায়নি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে