বিনোদন ডেস্ক: 'পাঠান' নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সিনেমা হল, চায়ের কাপে তর্ক থেকে সিনেপ্রেমীদের লেটেস্ট চর্চ্চার বিষয় এই ছবি। দীর্ঘ চার বছর পর শাহরুখের এই প্রত্যাবর্তনের কেউ কঠোর সমালোচনা করেছেন কেউ আবার শুধুমাত্র বড়পর্দায় শাহরুখ ম্যাজিক দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন।
তবে শাহরুখের সংলাপের মতোই পুরো ‘কায়েনাত’ যেন চেয়েছে তাকে তার সাফল্যের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে। আর এত কোটি কোটি লোকের প্রত্যাশা ফিরিয়ে দিয়ে বক্স অফিসে সুনামি ডেকে এনেছে এই ছবি। তবে শাহরুখের প্রত্যাবর্তনের কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলা ছবিতে।
যশরাজ ফিল্মসের শর্ত অনুযায়ী পাঠান চালানোর জন্য বাংলা ছবি সরিয়ে দিতে হয়েছে হল মালিকদের। এই বিতর্কে সরব হয়েছেন অঞ্জন দত্ত, প্রসেনজিৎ, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আরও অনেকেই। বলেন, ‘শুধু মাত্র আমার ছবি বিপদে পড়লেই নয়, ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।’
প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আলোচনা করেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে, না হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপদ হবে। সমস্ত বড়দিনে, ছুটিরদিনে ঐ প্রযোজনা সংস্থার ছবি রিলিজ করলে, বাংলা ছবি কোথায় যাবে?’
ম্যায়নে প্যার কিয়া ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। বলিউডের এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করে কি আফশোস রয়েছে? হেসে সুপারস্টার বলেন, ‘আমি সালমান খানের ফ্যান। মিশুক আরও বড় ফ্যান। শাহরুখ রিলিজ করেছে পাঠান। যে যাই বলুক, আমাকেও ভাবিয়ে দিয়েছে। কারণ যে যাই বলুক দর্শকের জন্য কাজ করতে হবে। যে লোকটা বরাবর আনন্দ দিয়ে গেছে।’
প্রসেনজিৎ বলেন, সে চারবছর পর ফিরে ফের মানুষকে আনন্দ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে শাহরুখ খান। এটা আমাদের যাদের একটু বয়স হয়েছে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। শাহরুখ আমার থেকে বয়সে ছোট হলেও এই অনুপ্রেরণাটা শাহরুখ দিল। এই লড়াইটা অন্তহীন। কিছুদিন আগে কমল হাসান অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।’
বুম্বা দা বলেন, ‘এখন কথা বলতে বলতেও আমায় মাথায় এখনও ঘুরছে পরের ছবিটা কী করব? এই লড়াইটাই চালাতে হবে। আমি হয়তো বাড়ির পার্টিতে যাইনি কিন্তু আমি সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এটাই করতে হবে।’