বিনোদন ডেস্ক: অভিনেতা তুনিশা শর্মার মৃত্যুর তদ'ন্ত কি সঠিক দিকে এগোচ্ছে? তাকে আত্ম'হত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বয়ফ্রেন্ড শিজান খান। শিজানের বিরুদ্ধে কি এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ মিলেছে? মহারাষ্ট্রকে এই প্রশ্নই করল বম্বে হাই কোর্ট। তুনিশার মৃত্যুতে কি দায়ী শিজান? আদালতের প্রশ্নে বেরিয়ে এলো আসল সত্য!
গত ২৪ ডিসেম্বর ছবির সেটেই ঝু'ল'ন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল তুনিশার। মেকআপ রুমের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ। আত্মহ'ত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পরের দিন শিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুম্বাইয়ের ভাসাই ওয়ালিভ থানায় ৩০৬ ধারায় (আত্মহ'ত্যায় প্ররোচনা) এফআইআর দায়ের হয় শিজানের বিরুদ্ধে।
সেই এফআইআর খারিজের দাবিতে বম্বে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিনেতা। মামলাটি শুনছেন বিচারপতি রেবতী মোহিতে-দেরে এবং পৃথ্বীরাজ চভন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেছে বম্বে হাই কোর্ট। শিজানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেস ডায়েরি দেখতে চেয়েছেন বিচারপতিদ্বয়।
শিজানের আইনজীবী ধীরাজ মিরাজকর আদালতে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজের উপর বেশি ভরসা করছে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী অরুণা পাই জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তুনিশা যখন নিজের মেকআপ রুমে যাচ্ছিলেন, স্বাভাবিক ছিলেন।
সরকারি আইনজীবী অরুণার কথায়, ‘‘এরপর শিজানের মেকআপ রুমে ঢোকেন তুনিশা। কিছুক্ষণ পর শিজান সেখান থেকে বের হয়ে যান। তুনিশা পিছন পিছন বেরিয়ে যান। তখন তাকে বেশ বিপর্যস্ত লাগছিল।’’ শিজানের আইনজীবী মিরাজকর জানিয়েছেন, তদন্ত নিয়ে তাদের আপত্তি নেই।
তবে এক মাসেরও বেশি সময় শিজানকে আটকে রাখা কেন হয়েছে? এরপরেই বিচারপতি চভন বলেন, ‘‘তদন্ত কি সঠিক পথেই এগোচ্ছে? আপনারা কি কোনও ইঙ্গিত পেয়েছেন?’’ বিচারপতি রেবতী বলেন, ‘‘৩০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে। তার কি প্রমাণ মিলেছে? কী প্ররোচনা দিয়েছিলেন তিনি? তুনিশার মায়ের বয়ান থেকে ৩০৬ ধারার প্রমাণ মেলেনি।’’
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছে, ফরেন্সিক তদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। শিজানের জামিনের আবেদন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনবে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।