বিনোদন ডেস্ক: সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতুহল সকলেরই রয়েছে। প্রত্যেকেই প্রায় মুখিয়ে থাকে নতুন কী খবর বেরিয়ে এলো অন্দরের। সাংসারিক টানাপোড়েন থেকে বিবাহিত জীবনে চিড়, প্রতি মুহূর্তে তাদের জীবনকাহিনি বেরিয়েও আসে দর্শকের দরবারে। সকলেই স্বাদ নেয় তার।
সিনেমার সংখ্যার পাশাপাশি নতুন প্রেম, বিয়ে, বাচ্চা সমস্ত চর্চার ভরপুর হিসাব নিকেশ করতেই থাকেন ভক্তেরা। যাকে বলে একেবারে তাক করে থাকা। আর সোশাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তায় এখন যেকোনও খবর রটতেই ক্ষণিকের অপেক্ষা। একেবারে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে খবর। কেউ বাহবা দেয়, কেউবা গেল গেল রব তোলে।
এসবের মাঝেও বহু তথ্য তাদের বিষয়ে অজানা থেকে যায়। পর্দায় আমরা যাদের সবসময় দেখি, আমাদের জীবনে তাদের প্রভাবও অনেকটা। সবদিক থেকে তাদের মতো হয়ে উঠতে না পারলেও, আমরা চেষ্টা করি খানিকটা অনুসরণ করার। আমাদের জীবনের বহুক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাও জোগান তারা।
অমিতাভ বচ্চনের জীবনের বহু ওঠা-পড়া তো আমরা দেখেছি। সব খবরই আমরা রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁর পরিবারের সকলের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি জানেন? রিপোর্ট অনুযায়ী, নৈনিতালের একটি স্কুল থেকে ক্লাস টুয়েলভ পাশ করেন অমিতাভ বচ্চন। এরপর দিল্লির কিরোরিমাল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেন মিস্টার বচ্চন।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন জয়া। এরপর পুণের বিখ্যাত ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সস্টিটিউট থেকে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি বলে খবর। মুম্বইয়ের যমনাবাঈ নার্সি স্কুল ও বোম্বে স্কটিশ স্কুলে অভিষেকের ছেলেবেলা। এরপর সুইজারল্যান্ডের এইগলন কলেজে পড়াশোনা করেন।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন স্কুলজীবন শেষ করার পর রচনা সনসদ অ্যাকাডেমি যোগ দেন। এরপর আর্কিটেকচারে স্নাতকের জন্য তিনি অ্যাডমিশন নিলেও মডেলিংয়ে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার জন্য তিনি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
বচ্চন-কন্যা শ্বেতা বচ্চন নন্দা সুইজারল্যান্ডের একটি ইন্সস্টিটিউট থেকে সাংবাদিকতায় গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। এরপর বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পড়াশোনা করেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, নভ্যা নভেলি নন্দা ডিজিটাল টেকনোলজি এবং ইউএক্স ডিজাইনের ওপর ফরধাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি কমপ্লিট করেন।
আগাস্তা নন্দা লন্ডনের সেভেনোআক্স স্কুল থেকে পড়াশোনা করার পর, ২০১৯ সালে তিনি গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেন বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও অভিষেক-ঐশ্বর্যার মেয়ে আরাধ্যা। সেও এখন তার স্কুল জীবনের সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলাই যায়, বড় পর্দায় প্রতি মুহূর্তে আমরা যাদের দেখে যাই, তাদের জীবনের ছোটখাটো মুহূর্তগুলো জানার আগ্রহ মানুষের মধ্যে প্রবল।