বিনোদন ডেস্ক: অভিনেতা অনিল কাপূরকে কে না চেনেন? পর্দায় তার সহমর্মী হাত তিনি অনেকের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে? কী ভাবে অনিল তার কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এক সাম্প্রতিক বিমানযাত্রায়, সেই অভিজ্ঞতার কথা বললেন তার সহযাত্রী শিখা মিত্তল।
ভাগ করে নিলেন অনিলের সঙ্গে তোলা নিজস্বীও। শিখা অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। জানালেন, তারকাদের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন না, কিন্তু অনিল তার কাছে বিশেষ। শেষ বিমান সফরে শিখার পাশের সিটটি ছিল অনিলেরই। তা নিয়ে আগে থেকেই রোমাঞ্চিত ছিলেন তিনি। তবে উড়ান মাঝ আকাশে থাকতেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
শিখা বলেন, বিমানটি আকাশে ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই টলমল করতে থাকে। হঠাৎ মালপত্র রাখার জায়গার ঢাকনা খুলে যায়। এতে আ'ত'ঙ্ক গ্রাস করে তাকে। মহিলা সহযাত্রীর হাত চেপে ধরলেন অনিল কাপূর, মাঝআকাশে হুলস্থুল কাণ্ড! শিখার কথায়, ‘‘প্লেনে উঠলে কখনওই আমি ঠিক থাকি না। ২০২২ থেকে কো'ভি'ডজনিত শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই আ'ত'ঙ্ক আরও বেড়েছে।’’
সে দিনের বিমানযাত্রায় ওই অস্থির সময়ে উদ্বিগ্ন দুটি সিটের মাঝখানের ডিভাইডারে যখন হাত রাখেন তিনি, তখনই অনিল তার হাত ধরেন। তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘সব ঠিক আছে। আমাকে আপনার নাম বলুন। কথা বলা যাক।’’ শিখা বলেন, এরপর দু’ঘণ্টার বিমানযাত্রায় তারা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। হাসতে থাকেন।
শিখা জানান, কখন যে যাত্রা শেষ হয়েছে, তিনি বুঝতেই পারেননি। যখন বিমানটি মাটি ছোঁয়ে, অনিল বলেন তাকে, ‘‘ অনেকেই আপনাকে বলবে, উদ্বেগ খুব খারাপ জিনিস, কিন্তু আজ আপনার উদ্বেগের জন্যই আমরা কথা বলার ও হাসার সুযোগ পেলাম। এখন আপনি আমাকে দিল্লিতে কফি খাওয়াতে পারেন।’’ মৃদু হাসেন শিখা। অনিল তাকে আলিঙ্গন করে বিদায় সম্ভাষণ জানান।