রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩, ০৯:৫৭:০৮

এবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি জায়েদ খানের

এবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি জায়েদ খানের

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ আক্তার। তাকে নিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান মানহানিকর মন্তব্য করেছেন অভিযোগ করে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছিলেন নিপুণ।
 
সাত দিনের মধ্যে সেই চিঠির জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও জায়েদ নির্দিষ্ট সময়ে সেই চিঠির জবাব দেননি। অবশেষে রোববার নিপুণের চিঠির পালটা জবাব দেন জায়েদ; চিঠিতে লেখা জায়েদের ভাষ্য অনুযায়ী- তাকে নিয়ে বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর কর্মকাণ্ড বাদ না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন তিনি।

জায়েদ খানের দাবি- নিপুণ বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে চিঠি দিয়েছেন। রোববার কারণ দর্শানোর চিঠিতে জায়েদ লিখেছেন- আমি পেশাগত কাজে বিগত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি।

আমি দেশের বাইরে অবস্থানকালে আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি পাঠান। আমি দেশের বাইরে অবস্থান করায় উক্ত নোটিশটি যথাসময়ে আমার কাছে পৌঁছায়নি। পরবর্তী সময়ে গত ৩১ মার্চ নোটিশটি আমার হস্তগত হয়।

চিঠিতে জায়েদ খান আরও লিখেছেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনার নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে উক্ত নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। এমনকি আমার সদস্য পদ নিয়ে যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিপুণের কারণ দর্শানোর চিঠিতে জায়েদ খানকে বলা হয়, বিগত কয়েক দিন যাবৎ আপনি (জায়েদ খান) বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে সমিতির একজন সদস্য ও সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা সমিতির সাধারণ সদস্য, চলচ্চিত্রের মানুষ তথা সারা দেশের দর্শকদের কাছে শিল্পীদের ও শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে, যার প্রমাণ আছে। এমন বক্তব্য সমিতির সদস্য হিসেবে কাম্য নয়।

জায়েদ খান এ প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলীর পরিপন্থি, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্যের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না।

বিধায় তথাকথিত কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বেআইনি। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে একজন সহশিল্পী হিসেবে আপনাকে বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর এবং আদালত অবমাননাকর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আপনিসহ অন্যান্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। চিঠির বিষয়ে নিপুণকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে