বিনোদন ডেস্ক : দুই বাংলার মহানায়িকাখ্যাত সুচিত্রা সেনের ৯২তম জন্মদিন ছিল গতকাল। ১৯৩১ সালের এ দিনে পাবনা সদরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পাবনা শহরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান দুই বাংলার নন্দিত এই নায়িকা।
তার প্রকৃত নাম রমা দাশগুপ্ত। ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় তার। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। পরের বছর উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরপর থেকে বাংলা সিনেমায় এই জুটি আজও আইডল।
উত্তম-সুচিত্রা জুটির ৩০টি বাংলা সিনেমা সফলতার মুখে দেখে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘সবার উপরে’, ‘পাপমোচন’, ‘শিল্পী’, ‘সাগরিকা’, ‘পথে হল দেরি’, ‘হারানো সুর’, ‘গৃহদাহ’, ‘প্রিয় বান্ধবী’ ইত্যাদি।
১৯৫৫ সালের ‘দেবদাস’ ছিল সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা। এরপর অভিনয় করেন হিন্দি ‘আন্ধি’তে। এই সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। যেখানে তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন।
সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর ১৯৭৮ সালে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান সুচিত্রা সেন। অজানা এক কারণে প্রায় ৩৬ বছর কলকাতার বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে একাকী থাকতেন তিনি। স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়ে রহস্যময়ী ছিলেন আমৃত্যু।
ব্যক্তিজীবনে ১৯৪৮ সালে কলকাতার শিল্পপতি আদিনাথ সেন তনয় দিবানাথ সেনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন সুচিত্রা সেন। তার একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেন।