বিনোদন ডেস্ক : মনির খানের সংগীত জগতের শুরুটা সংগ্রামের ছিল। বরাবরই বলে এসেছেন এই গায়ক। শুরুর কয়েকজন মানুষকে তিনি কোনোভাবেই বিস্মরণ করতে পারেন না। ক্যারিয়ারের শুরুর কথা বলতে গেলেই যেন জিভে চলে আসে সেসব নাম।
যেমন সোমবার রাতে বলছিলেন, ‘মিল্টন ভাইকে আমার সংগীতের পিতা বলি, যে যা-ই বলুক, আমি বলি। আমি জানি সংগীতের জগতে তার অবদান কোথায়। আমি রবিদাকে (রবি চৌধুরী) চিৎকার করে বলি, সংগীত জগতে একজন মানুষ আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।’
নিজের শিল্পীজীবনের শুরুর দিকটা কতটা সংগ্রামী ছিল তা বারবার কথায় উঠে আসে। রবি চৌধুরীর ভূমিকার কথা কখনোই ভুলতে পারেন মনির খান। সে কথা বললেন এমনই অকপটে, ‘যখন আমি একজন শিল্পী হবার জন্য চেষ্টা করছিলাম, দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, ধরনা দিচ্ছিলাম; কেউ পাত্তা দেয়নি।
আমাকে কেউ বসার জন্য বলেনি। সে সময় একজন রবি চৌধুরী আমার সিডি হাতে নিয়ে দেখল, তখন সে আমাকে টান দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরল- বলল, তোমাকে দিয়েই হবে, তুমি থাকো; তোমার সাথে আমি আছি।’
মনির খানের ১০ গানের অ্যালবাম ‘কী বাঁধনে বেঁধেছ আমায়’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ভিডিওচিত্রসহ এই গান মনির খানের দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে আগামী দুই মাস ধরে। এ গানের জন্য আসন্ন ঈদের ব্যস্ততা নেই। ঈদের আগে গান নিয়ে উন্মাদনা যে হারিয়ে যাচ্ছে সেটা তার কথায় দৃশ্যমান হলো।
কিন্তু মানুষ বুঝি বারবার নিজের স্মৃতিতেই ফিরতে চায়। মনির খান তার কথায়, তার চেষ্টায় সেটা করছেন। অন্তত তার কথা শুনলেই বোঝা যায়, ‘দিনে দিনে হারিয়ে যাওয়া দিন ফিরিয়ে আনতে পারি, আবার সেই দিনগুলোকে যদি ফিরিয়ে এনে জাগরণ তৈরি করতে পারি, তাহলে এটাই হবে আমাদের জয়। তাহলেই হবে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক। যেমন আমরা আগে ঈদ এলে ক্যাসেটের পোস্টার, ক্যাসেট সিডি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ, ঘুম-খাওয়া হারাম হয়ে যেত। ঠিক সেই জায়গা থেকে এই জায়গায় এসে আমরা সেই দিনগুলোকে মিস করি।’
মনির খান ঈদের সেই দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন জানিয়ে বললেন, সামনে ঈদ আসছে, এ যেন কোনোভাবেই দিন কাটছে না। গানের ব্যস্ততা একেবারেই নেই। একটা একটা গান করে বসে আছি, ইউটিউবে আপলোড করব, কিন্তু আমি, মিল্টন ভাই, লিটন শিকদার ভাই চিন্তা করলাম, সেটি কেন হবে, একটা গান হবে? একটা গানে মানুষকে বিচার-বিশ্লেষণ করা যায় না।’