শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৫:৩২:১৪

ফেসবুকে এবার কি শিক্ষা দিচ্ছেন আলোচিত সেই হ্যাপী?

ফেসবুকে এবার কি শিক্ষা দিচ্ছেন আলোচিত সেই হ্যাপী?

বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের এক সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত মডেল, চিত্রনায়িকা নাজনীন অাক্তার হ্যাপী। বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও তার আচরণের কারণে সমাজে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তাকে আর ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে নানান তর্ক, বিতর্ক এবং জল গোলা কম হয়নি। এসব কথা আর নতুন কিছু নয়। তবে নতুন কথা হলো দুনিয়াবি সব কিছু ছেড়ে এবার আল্লাহর একজন খাসবান্দা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে মাদরাসার ভর্তি হয়েছেন আলেমা হওয়ার জন্য। আলেমা হওয়ার এবং ইসলাম প্রসঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার দুপর প্রায় ১টার দিকে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন। তার ফেসবুক থেকে সেই স্ট্যাটাসটি এমটিনিউজ২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:-

‌‘বিদ'আত কি? দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করাই বিদ'আত।

শরীয়াতের সুস্পষ্ট কিংবা অসপষ্ট মৌখিক বা কার্যত অনুমতি ব্যতিরেকে সাহবা, তাবেঈন, তাবে- তাবেঈনের যুগের পর দ্বীনের মধ্যে কোনো কিছু বৃদ্ধি করা কিংবা দ্বীন থেকে কোনো কিছু হ্রাস করাকে শরীয়াতের পরিভাষায় বিদআত বলে।

সমাজে বিদআত চালু হওয়ার কারণঃ

১) কোরআন-হাদীসের দাবী থেকে বিমুখ হয়ে পূর্বপুরুষের অনুসরণকে মুক্তির উসীলা মনে করার প্রবণতা থেকে বিদআত চালু হয়ে থাকে।

২) কোরআন ও হাদীসের ব্যাপারে অজ্ঞতা, উলূমে দ্বীন থেকে দূরে থাকার কারণে বিদআতের বাহ্যিক চাকচিক্য প্রভাবিত হয়েও এর প্রচলন হয়।

৩) কখনো কখনো পদ ও সম্পদের মোহ এবং আত্বপ্রসিদ্ধির চেতনা থেকেও বিদআত জন্ম হয়।

৪) কখনো আবার দ্বীনের ব্যাপারে অলসতা প্রদর্শন,অন্যায় ও অসৎ কর্মকে প্রশ্রয় দান এবং দেখেও না দেখার ভান করার কারণে বিদআতের প্রসার ঘটে।

৫) প্রবৃত্তি পূজা তথা দ্বীনের তোয়াক্কা না করে নিজ খেয়াল- খুশিমত চলার আত্বঘাতি প্রবণতার কারণেও বিদআত ছড়িয়ে পড়ে।

বিদআত নিন্দনীয় হওয়ার কারণঃ

১) বিদ'আতের অন্ধকারের দরুন মানুষ সুন্নাতের আলো থেকে দূরে চলে যায়।

২) বিদআতী ব্যক্তি দ্বীন মনে করে গুনাহ করার কারণে তার তওবা নসীব হয় হয় না: বিনা তওবাতেই তার মৃত্যু হয়ে যায় পক্ষান্তরে অন্যান্য গুনাহকে গুনাহ মনে করার দরুন কখনো অনুতপ্ত হয়ে ,তওবা নসীব হয়ে যায়।

৩) দ্বীন পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বিদআত আবিষ্কার করার অর্থ হলো,প্রকারান্তরে একথা ঘোষনা করা যে, (নাউযুবিল্লাহ) দ্বীন অসম্পূর্ণ ছিল এবং রাসূল (সাঃ) তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন নি।আর এটা বহুত বড় জঘন্য মানসিকতা।

৪) বিদাতের কারণে আসল দ্বীনে বিকৃতি ঘটে।দ্বীন তার প্রকৃত রূপ হারায় এবং এর দরুন কিয়ামতের দিন সে রাসূল (সাঃ)- এর শাফাআত পাবে না।

অতএব,সাবধান! আমরা বিদাতের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি তবুও বুঝতে পারছি না।জন্মদিন পালন,বিভিন্ন দিবস পালন,মাজারে নানা কর্মকান্ড ইত্যাদি তো আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।এসব ছাড়াও আমরা নানাভাবে বিদআতে শামিল হচ্ছি।এসব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে না পারলে ক্ষতি আমাদেরই।আমাদের সবকিছুর জন্যই হিসাব দিতে হবে।বিদআতের কারণে অনেক বড় বড় গুনাহের বোঝা নিয়ে হাসরের ময়দানে উঠতে হবে।আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন।’
২৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে