বিনোদন ডেস্ক: বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গত তিন দশক ধরে তিনি টলিউডে রাজ করছেন। একের পর এক হিট দিয়েছেন প্রসেনজিৎ বাংলা সিনেমাকে।
তবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন কখনই খুব বেশি কথা বলতে শোনা যায়নি অভিনেতাকে। তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। দুটো বিয়ে টেকেনি, তৃতীয় বিয়ে সফল প্রসেনজিৎ-এর। তৃতীয় বার তিনি বিয়ে করেন অভিনেত্রী অর্পিতা পালকে।
বর্তমানে তার সঙ্গে সুখীগৃহকোণ বুম্বাদার। তবে তার তিনটি বিয়ের মধ্যে সব থেকে চর্চিত ছিল অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ও তার বিয়ে। প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রীর প্রেম কীভাবে হল ও বিয়ের খবর এতদিনে অতীত। তাও তাদের বিয়ে কেন টিকল না তা জানতে আজও আগ্রহী মানুষ।
খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেন প্রসনেজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়। তবে সেই সম্পর্কে খুব বেশি দিন টেকেনি। অল্প কয়েক মাসের মধ্যে পথ আলাদা হয় এই দুই তারকার। তারপর আর কখনও বিয়ে করেননি দেবশ্রী রায়।
রাজনীতি, অভিনয় ও সমাজ সেবা নিয়ে রয়েছে অভিনেত্রী। তবে প্রসেনজিৎ এরপর আরও দুটি বিয়ে করেন। জানা যায়, বন্ধুত্ব দিয়েই একে-অপরের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর তারা একসঙ্গে বহু সিনেমায় কাজ করেন। এই জনপ্রিয় জুটি একাধিক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সূচনা হয়। ১৯৯২ সালে প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রী সাতপাকে বাঁধা পড়েন। যদিও তাদের সংসার খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তিন বছর মাথায় তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু ঠিক কী কারণে প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রীর দাম্পত্য জীবন ভেঙেছিল তা নিয়ে একাধিক কারণ উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছিল যে, সেই সময় ‛উনিশে এপ্রিল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন দেবশ্রী সেই ছবিতে প্রসেনজিৎ ও অপর্ণা রায়ও ছিল। আর সেই থেকেই অভিনেত্রীর উপর হিংসে জন্মেছিল প্রসেনজিতের।
এমনকি এও শোনা গিয়েছিল যে, বিয়ের পর ক্রিকেটার সন্দীপ পাটিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দেবশ্রী। তাছাড়া টলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যে, বিয়ের পর দেবশ্রীকে নাকি অভিনয় ছেড়ে দিতে বলেছিলেন প্রসেনজিৎ। যা কোনোভাবেই মানতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রী।
যদিও আসল কারণ কি ছিল তা আজও জানা যায়নি। তাদের বিচ্ছেদের পর প্রসেনজিৎ বলুন বা দেবশ্রী কেউই কোনোদিন মিডিয়ার সামনে কখনও মুখ খোলেননি। বরং দুজনকে একে অপরের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তারা এড়িয়েই গিয়েছেন।
তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি প্রায় দেড় বছর বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেননি। খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
এরপরই প্রসেনজিৎ বিয়ে করেন অপর্ণা গুহ ঠাকুরতাকে। তবে সেই বিয়েও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয় পক্ষের একটি মেয়েও রয়েছে প্রসেজনজিতের। এরপর তৃতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী অর্পিতাকে। তাকে নিয়েই সুখের সংসার প্রসেনজিৎ-এর। রয়েছে এক ছেলেও।