বিনোদন ডেস্ক : একজন কট্টরপন্থী নারীবাদী লেখিকা৷ মহিলাদের প্রাপ্য সম্মানের জন্য কথা বলা, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কিংবা ধর্মের বিরুদ্ধে নিজের গোড়ামি উপস্থাপন করে অবশেষে নিজের দেশ ছাড়তে হয়েছে তাকে৷ অন্যজন বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব পেয়েছেন। বলিউড থেকে হলিউড সর্বত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নিজের অভিনয় দক্ষতার কারণে৷ এবার তাদের মাঝেই লক্ষ করা গেল গভীর বন্ধুত্ব৷ প্রথম জন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবং দ্বিতীয় জন হলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷
কিছুদিন আগে এক সাংবাদ সম্মেলনে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, তার জীবনে পুরুষের কোন প্রয়োজন নেই৷ একমাত্র সন্তান জন্মদেয়া ছাড়া আর কিছুর জন্যই তার পুরুষের প্রয়োজন পড়বে না৷ এই বলেই থেমে থাকেননি প্রিয়াঙ্কা৷ তিনি বলেছেন, তার প্রেমিক যদি সম্পর্কে থেকে তাকে ঠকান, তবে তিনি তাকে মারধর করতেও পিছ পা হবেন না।
তার কিছুদিন পর আবার প্রিয়াঙ্কা একটি গসিপ ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ‘কে বলে আমার জীবনে কেউ নেই। আমি হয়তো তার সঙ্গে থাকতে পারি না কারণ কাজের জন্য সব সময় ঘুরে বেড়াতে হয়। আমারও ব্যক্তিগত জীবন আছে কিন্তু আমি সেই নিয়ে কথা বলতে চাই না।’
তাহলে কি এই বিশ্বসুন্ধরী বিয়ের কথা ভাবছেন? প্রিয়াঙ্কার উত্তর বিয়ে তিনি অবশ্যই করতে চান এবং সবচেয়ে বড় কথা ‘মা’ হতে চান। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, যদি সত্যিই কেউ তাকে দাবি করার মতো জায়গায় পৌঁছন, তবেই বিয়ে, না-হলে নয়। প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্য দেশজুড়ে প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ নিন্দুকরা প্রিয়াঙ্কাকে এই মন্তব্যের জন্য কোন ভাবেই ছাড়তে রাজি নয়।
ঠিক এই সময়ই প্রিয়াঙ্কার পাশে দাঁড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রিয়াঙ্কার এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে লেখিকা বলেন, 'আজকাল বলিউডের অভিনেত্রীরা সত্যি কথা বলেন না৷ সবসময় ডিপ্লোম্যাটিক থাকতে চেষ্টা করেন৷ কিন্তু সোজাসাপটা কথা বলছেন প্রিয়াঙ্কা৷ ওঁর ড্যাম কেয়ার স্বভাব প্রশংসার দাবি রাখে৷'
স্বভাবতই লেখিকাকে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত নায়িকা৷ তিনিও তসলিমার প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি তসলিমার লেখার একজন বড় ভক্ত৷ শুধু তাই নয়, তসলিমাকে ট্যুইটারে আলাদাভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছে প্রিয়াঙ্কা৷ তসলিমা, প্রিয়াঙ্কার যে বন্ধুত্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সবার নজর কাড়ছে, তা ঠিক কতদূর এগোয় এখন সেটাই দেখার বিষয়৷
৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই