মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১২:৪৮:৩৬

ভালবাসলে পুড়ে মরার ভয় থাকবেই : ক্যাটরিনা

ভালবাসলে পুড়ে মরার ভয় থাকবেই : ক্যাটরিনা

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে সম্প্রতি বেশ আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। রণবীরের সাথে তার বিচ্ছেদ এবং পুনরায় সালমান খানের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা। এসব নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।

এদিকে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে ভারতের ‌‌‘এবেলা’তে ক্যাটরিনা কাইফের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে। সেই সাক্ষাৎকারটি এমটিনিউজ টুয়েন্টিফোরের পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।

• ‘ফিতুর’ নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের প্রত্যাশা চরমে। ছবিতে আপনার চরিত্র নিয়ে কী বলবেন?

ক্যাটরিনা: ‘ফিতুর’-এ আমার চরিত্রের নাম ‘এস্টেলা’। চরিত্রটি অবশ্যই ‘গ্রেট এক্সপেকটেশন’ দ্বারা অনুপ্রাণিত। চরিত্রটি অনেকটাই সাহসী। নিজের জগতে মগ্ন থাকে। চরিত্রের জন্য পুরো ক্রেডিট আমি দেব পরিচালক অভিষেক কপূরকে। ছবিতে এস্টেলার চরিত্রটি খুবই যত্ন করে আঁকা হয়েছে।

• ছবির গল্পের মতোই কী ভালবাসার ক্ষেত্রে নিজেকে কখনও আনলাকি মনে হয়েছে?

ক্যাটরিনা: ভালবাসা এমন একটা অনুভূতি যে, যাঁরা সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে বা সম্পর্কে আছেন তাঁরা প্রত্যেকেই ভীষণভাবে লাকি। আমাদের সমস্যা আমরা পরিণতি নিয়ে বড্ড বেশি ভাবি। কিন্তু ভালবাসা এতোটাই সুন্দর যে, তার পরিণতি নিয়ে না-ভেবে, অনুভূতি নিয়ে ভাবলে দেখা যাবে সবাই লাকি।

• ‘ফিতুর’ মানে তো কারোর জন্য চরম অবসেশন। আপনার নিজের জীবনে কারোর জন্য এরকম অনুভব করেছেন কখনও?

ক্যাটরিনা: আমি দুঃখিত, এই উত্তরটা আপনাকে দিতে পারলাম না। যদিও এটুকু বলতে পারি, চারিত্রিক দিক থেকে আমি অত্যন্ত প্যাশনেট। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনও কখনও এই চরম অবসেশনটা দরকার হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সবটাই হল দু’টি মানুষের রুচিগত মিল এবং একসঙ্গে থাকার মানসিকতা। অনেকসময়ে সম্বন্ধ করা বিয়েতেও তা খুঁজে পাওয়া যায়। কখন কার মধ্যে নিজের ভাললাগাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, তা কেউ আগে থেকে বলতে পারবেন না।

• আপনি কী মনে করেন সব লাভ স্টোরিরই একটা হ্যাপি এন্ডিং থাকে?

ক্যাটরিনা: নিশ্চয়ই থাকে। আমি নিশ্চিতভাবেই মনে সব লাভ স্টোরিরই একটা হ্যাপি এন্ডিং হওয়া উচিত। কিন্তু সবটাই ব্যক্তিবিশেষে পরিবর্তনশীল। ‘ফিতুর’ সেই বার্তাই স্পষ্ট করে দেয়।

• ‘বিগ বস’-এর যে এপিসোড-এ আপনি এসেছিলেন, সেই এপিসোডের টিআরপি সবথেকে বেশি ছিল ওই সিরিজের। সালমান ওই এপিসোডেই বলেছেন, তিনি আজও আপনাকে নিয়ে ক্রেজি। কী বলবেন এই বিষয়ে?

ক্যাটরিনা: আমি আপনাকে সালমানের ঠিকানা দিয়ে দিতে পারি। খুব ভাল হয় যদি আপনি ওর বাড়ি গিয়ে নিজেই এই প্রশ্নটি ওনাকে করেন। আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন।

• সালমান দীর্ঘদিন আপনার মেন্টর ছিলেন, আপনাকে অনেক সুযোগও দিয়েছেন, ঠিক কেমন ইকুয়েশন আপনাদের?

ক্যাটরিনা: একটা সুস্থ সম্পর্ক বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই। আমার আর সালমানের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝির জায়গা নেই। আমাদের দু’জনেরই একে অপরের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আছে। যখনই দু’টো মানুষ একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে শিখে যায়, তখন তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ হয়। আশা করি, এই বিষয়ে আর কিছু আর কিছু বলার প্রয়োজন হবে না।

• ফিতুর-এর ক্ষেত্রে আপনি তো অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। এতদিন পর্যন্ত বলি দুনিয়া আপনাকে শুধুমাত্র একজন স্টার হিসেবে মনে করেছে, কী মনে হয়, এবার কী ভাল একজন অভিনেতা হিসাবে মানবে এই ইন্ডাস্ট্রি?

ক্যাটরিনা: স্টার নাকি অভিনেতা, এই নিয়ে দ্বন্দ্ব অনেকদিনের। যদিও বিষয়টা শুনতে খারাপ, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে নিজের স্টার ইমেজটা আমি খুব এনজয় করি। দিনের শেষে আমি এই জায়গাটাতে বসে আছি, এবং আপনি আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। আসলে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই আমার মনে হয়, মানসিক শান্তি খুব জরুরি। আমি যখনই সেটে গিয়ে দাঁড়াই, তখন ভিতর থেকে একটা খুশি অনুভব করি। সেটাই যথেষ্ট। পরিশ্রম করে যাই, সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামাই না।

• আপনার এবং রণবীর অভিনীত ‘‘জগ্গা জাসুস’’-এর কাজ নাকি এখনও শেষ হয়নি?

ক্যাটরিনা: একেবারেই ঠিক। ৪৫ দিনেক শ্যুটিং বাকি আছে। মার্চেই আশা করি সেই পেন্ডিং কাজ শেষ করতে পারব।

• হলিউডে ছবি করা নিয়ে কিছু ভাবছেন?

ক্যাটরিনা: সুযোগ পেলে এবং ভাল স্ক্রিপ্ট হলে নিশ্চয়ই করব। বিভিন্ন ভাষায় কাজ করার ক্ষেত্রে আমি সাবলীল। আগেও মালায়ম এবং তেলুগু ভাষায় কাজ করেছি।
২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে