সীমান্ত প্রধান : ১০০ টাকা দিলে ১৯৯টি ভূয়া কাবিননামা পাওয়া যায়। সম্প্রতি পরীমনির কথিত দুই স্বামীকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়া পোস্টের বিপরীতে এমন মন্তব্য করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার হালের ক্রেজ পরীমনি।
অনেকের মতে যথার্থ বলেছেন পরী। তবে এর পাশাপাশি প্রশ্নও উঠেছে, কাবিননামা না হয় ভূয়া উঠানো যায়। কিন্তু ছবিগুলো! এগুলোও কি ভূয়া?
যদিও পরীমনি দাবী করেছেন, কথিত স্বামী পরিচয়দানকারী ইসমাইলের সাথের ছবিগুলো তার। তবে সেটা অনেক আগের। আর ইসমাইলের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। জাস্ট চেনা পরিচয়ের কারণে ছুবি তোলা হয়েছিল।
তবে কথিত আরেক স্বামী পরিচয়দানকারী সৌরভ কবিরের সাথের মেয়েটি তিনি নন বলে দাবী করেছেন এই নায়িকা। কিন্তু ছবিতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে পরীমনিকে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি পরীমনির মত দেখতে আরেকজন কেউ আছেন? নাকি এসব ছবি ফটোশপ?
কারো কারো মতে সৌরভ কবিরের সাথে যে ছবিতে পরীমনিকে দেখা যাচ্ছে সেগুলো ফটোশপ বলে মনে হচ্ছে না। এগুলো বাস্তবিক ছবি বলেই মনে করছেন অনেকে।
যদিও পরীমনি দাবী করছেন এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তার সফলতায় কোন একটি চক্র ঈর্ষাকাতর হয়ে এমন করছেন। তবে সেই চক্রটিতে কে বা কারা থাকতে পারেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীমনি তেমন স্পষ্ট কোন ধারণা দিতে পারেন নি একটি দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে।
তবে পরী দাবী করেছেন, এর পিছনে রাঘবোয়ালদের হাত থাকতে পারে। তবে যারা এমন প্রচার চালাচ্ছেন, তাদের ধরে জেল পুড়লে এবং পিঠের উপর দুটা পড়লেই মুল রহস্য বের হয়ে আসবে।
এদিকে পরীভক্তরা পরীমনিকে নিয়ে সাম্প্রতিক এমন ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে সৃষ্টি হয়ে নানা ধরণের সমালোচনা।
তবে পরীমনির দাবী অনুযায়ি যদি এসব কিছু ভূয়া হয়ে থাকে, তবে এর শেষ কোথায়? কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এমন ঘটাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরাই রয়ে গেছে।
এদিকে পরীমণির সোমবার প্রকাশিত ছবি সম্পর্কে ভাষ্য 'আমার কাছে পুরো ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হচ্ছে। আমি প্রমাণ করে দেবো বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা এবং আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের জবাব আমি সময়মতো দেবো। ছবিগুলো সম্পূর্ণ ফেইক।
২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন