বিনোদন ডেস্ক: ২০০১ সালে ‘গাদার’-এর ব্যাপক সাফল্যের ২২ বছর পর বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘গাদার ২’। অনিল শর্মা পরিচালিত সিনেমাটিতে সানি দেওল এবং আমিশা প্যাটেলের পুনর্মিলন ভক্তদের আবারও প্রেক্ষাগৃহে ফেরত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সিনেমাটি প্রথম কিস্তির মতো বক্স অফিসে দারুণ সফল। শুধু সফলই নয়, পর্দায় রীতিমতো ঝড় তুলেছে ‘গাদার ২’।
একের পর এক রেকর্ড গড়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়ে অনন্য এক চূড়ায় এখন ‘গাদার ২’। এবার নতুন মাইলফলকে নাম তুলেছে সিনেমাটি। ৫০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে ‘গাদার ২’। নতুন এক রেকর্ড গড়ে এই মাইলফলক অর্জন করলেন সানি।
হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে ৫০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে সিনেমাটি। টপকে গেছে শাহরুখ খানের রেকর্ডকেও!
স্যাকনিল্কের প্রতিবেদন অনুসারে, মাত্র ২৪ দিনে ৫০০ কোটির ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করেছে ‘গাদার ২’। চতুর্থ রবিবার ‘গাদার ২’ ভারতের বাজারে আয় করেছে ৮.৫০ কোটি। আর সেই সঙ্গে সিনেমাটির মোট আয় এখন ৫০১.৮৭ কোটিতে।
যার ফলে সানি দেওলের ‘গাদার ২’ এখন প্রথম হিন্দি সিনেমা যা মাত্র ২৪ দিনে ৫০০ কোটির ঘরে ঢুকেছে। শাহরুখ খানের পাঠানের এই মাইলফলক ছুঁতে সময় লেগেছিল ২৮ দিন। আর ‘বাহুবলী ২’-এর হিন্দি ভার্সনের ৩০ দিনেরও বেশি সময় লেগেছে ৫০০ কোটি আয় করতে।
এখন সানির সামনে শুধু পাঠানের মোট আয় টপকে যাওয়ার রেকর্ডের হাতছানি। পাঠান ভারতীয় বক্স অফিসে আয় করেছে মোট ৫৪৩ কোটি রুপি।
তবে পাঠানের মোট আয়কে টপকে যাওয়াটা বেশ কঠিন হবে বলেই ধারণা করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। কারণ ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খানের বহুল প্রত্যাশিত চলচ্চিত্র জওয়ান। যার ফলে প্রেক্ষাগৃহে লড়াই করা কঠিন হয়ে যাবে সানির পক্ষে।
২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সানি দেওলের ‘গাদার’ সে বছর সবচেয়ে বেশি আয়কারী সিনেমা হয়ে ওঠে। বলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায়ও রয়েছে এটি। ভারত-পাকিস্তানের দাঙ্গা ও দাঙ্গা-পরবর্তী নিজের স্ত্রীকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনতে তারা সিংয়ের লড়াই নিয়েই সিনেমার মূল গল্প। তারা সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি দেওল এবং সখিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমিশা প্যাটেল। ‘গাদার ২’-এ-ও একই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজন। সূত্র : স্যাকনিল্ক