বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম সংসার ভাঙার পর গত ৫ বছর ছেলে ও কাজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন অপু বিশ্বাস। ভবিষ্যতে আর বিয়ের পরিকল্পনা নেই? এ বিষয়ে সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেন ঢালিউড অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস বলেছেন, প্রথম বিয়েটা আমি ভেবে করিনি। তবে দ্বিতীয় বিয়ের কোনো সিদ্ধান্ত ভেবে গ্রহণ করতে চাই।
অপু বিশ্বাস বলেন, যখন কোনো মেয়ে ভাবে, সে আবার বিয়ে করবে এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। এমন অবস্থায় ওই মেয়েটা হয়তো সুখী হবে, সে একজন নতুন জীবন সঙ্গী পাবে কিন্তু সন্তান একজন অন্য মানুষকে পাবে। যে তার বাবা নয়, বা যার সঙ্গে তার কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। ফলে সে কিন্তু সুখী হবে না।
এরপর নিজের প্রসঙ্গ টেনে অপু বলেন, সুতরাং এমন একটি পদক্ষেপে হয়তো আমি সুখী হব, কিন্তু আমার সন্তান সুখী হবে না। তাহলে কি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আর বিয়ে করবেন না ঢালিউডের জনপ্রিয় এই নায়িকা? এ প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর দেননি। তবে সন্তানের সুখকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন তিনি।
অপু বলেন, কার সুখকে বেশি প্রাধান্য দেব? সেটা যদি হয় আমার সন্তান এবং সে যখন জানে, এটাই তার বাবা-মা। হয়তো তারা একই ছাদের নিচে থাকছেন না, কিন্তু পরিবার একটাই। বাবা হিসেবেও অন্য কাউকে দেখতে হচ্ছে না। এ বিষয়গুলোই আমি এখন সবচেয়ে বেশি ভাবি।
দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনায় সরাসরি ‘না’ শব্দের ব্যবহার না করলেও অপুর বক্তব্যে স্পষ্ট, আপাতত ছেলে জয়ের খুশিই সবকিছু তার জন্য। যেখানে এই নায়িকা চান না, জয় বাবা হিসেবে শাকিব ব্যতীত অন্য কাউকে গ্রহণ করুক।
দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। প্রায় ৮ বছর সংসারের পর ২০১৬ সালে কলকাতায় প্রথম সন্তানের জন্ম দেন অপু।
বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও পরের বছরই ছেলেকে নিয়ে টিভি চ্যানেলে হাজির হন এই নায়িকা। জানান শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়ে ও সংসারের কথা।
সন্তানকে নিয়ে প্রকাশ্যে আসতেই শাকিবের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সম্পর্কের চিড় ধরা পড়ে। নানা নাটকীয়তার পরে ২০১৮ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই জুটি। এরপর থেকে মায়ের কাছেই বড় হচ্ছে শাকিব-অপুর ছেলে আব্রাম খান জয়।