শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩, ০৫:০৪:৪৬

এখন কারা পাবে হিমুর ফ্ল্যাট-গাড়ি? নিজের শেষ ইচ্ছের কথা শুটিংসেটে জানিয়েছিলেন!

এখন কারা পাবে হিমুর ফ্ল্যাট-গাড়ি? নিজের শেষ ইচ্ছের কথা শুটিংসেটে জানিয়েছিলেন!

বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর সময় বাবা-মা কেউই বেঁচে ছিলেন না। পরিবারের একমাত্র সন্তান হওয়ায় অভিনেত্রীর কোনো ভাই-বোনও ছিলেন না। 

রাজধানীর উত্তরায় একটি বাসায় থাকতন হিমু। তার সঙ্গে ছিল মেকআপ ম্যান মিহির। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তার কিছু সম্পত্তি রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, পরিবারহীন হিমুর এই সম্পত্তি এখন কারা ভোগ করবে?

এ বিষয়ে হিমুর সহকর্মী অভিনেত্রী স্বর্ণলতা দেবনাথ জানালেন, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে নিজের শেষ ইচ্ছের কথা শুটিংসেটে জানিয়েছিলেন এই তারকা। 

সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বর্ণলতা বলেন, তিন থেকে চার মাস আগে ‘স্বপ্নের রানী’ শুটিং সেটের মেকআপ রুমে হিমু আপু হঠাৎ করেই বলছিল, ‘আচ্ছা আমি যদি মারা যাই বা চলে যাই তাহলে এই যে আমার গাড়ি, ফ্ল্যাটটা এটা কি আমি অনাথ আশ্রমে দিয়ে যেতে পারবো?’ আপুর মুখে এমন কথা শুনে আমরা সবাই বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম। 

তাকে জিজ্ঞেস করলাম কেন এসব কথা বলছো। তখন আপু বলেছিল, ‘মানুষের তো অনেক কিছু হতে পারে। আমার না আর বাঁচতে ইচ্ছে হচ্ছে না। আমি যদি মরে যাই তাহলে এগুলো অনাথ আশ্রমে দিয়ে যেতে চাই।’ 

হিমুর সঙ্গে একাধিক নাটকে কাজ করা এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তখন বুঝতে পেরেছিলাম, আপু একা থাকতে থাকতে অনেকটা ডিপ্রেসড হয়ে গেছেন। প্রথম প্রথম যখন তার সঙ্গে কাজ করতাম, তখন আপু বিগো অ্যাপসে অনেক ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু শেষের দিনগুলোতে তিনি অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলেন। চুপচাপ থাকতেন। আমরা যে চঞ্চল হিমু আপুকে দেখেছি, শেষ সময়ে ওই চঞ্চলতা পাইনি তার মাঝে।’

এ বিষয়ে  শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু হিমুর বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই, তাই আদালত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকবে তার সম্পত্তি (ফ্ল্যাট-গাড়ি)। দলিলপত্র চেক করে দেখা হবে কোনো উইল আছে কি না। পরে আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে মোতাবেকই সবকিছু হবে।

জানা যায়, ২০২০ সালে হিমুর মা শামীম আরা চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ গত আগস্ট মাসে মারা যান।

অভিনেত্রীর মামা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, ১৯৮১ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা সানা উল্লাহর সঙ্গে হিমুর মায়ের বিয়ে হয়। হিমুর জন্মের পরেই তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকেই হিমুকে নিয়ে তার মা লক্ষ্মীপুরে থাকতেন। কখনো দাদার বাড়িতে যাওয়া হয়নি তার। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে