বিনোদন ডেস্ক: নায়ক ও প্রযোজক হিসেবে আগেই সাফল্য পেয়েছেন অভিনেতা শাকিব খান। জনপ্রিয়তা দিয়ে তিনি পৌঁছেছেন খ্যাতির চূড়ায়। এবার নতুন পরিচয় আত্মপ্রকাশ করলেন বাংলা সিনেমার এই রাজকুমার।
শাকিব খানের এই নতুন পরিচয় হচ্ছে, তিনি করপোরেট জগতে ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন।
রিমার্ক এইচবি নামে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন, যেখানে বিশ্বমানের স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, হোম কেয়ার, পারফিউমসহ নানা পণ্য পাওয়া যাবে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, শাকিব খানের এই কম্পানির পণ্য পাওয়া যাবে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আন্তর্জাতিক এই ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হলেন শাকিব খান। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর পাঁচতারা হোটেল ওয়েস্টিনে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে শাকিব খানের নবযাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক'র চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তার, শাহরিয়ার আলম শুভ (ডিরেক্টর), ফারিহা আলম প্রভা (ডিরেক্টর), আলিসা নাওয়ার (ডিরেক্টর), আবুল বাশার হাওলাদার (ডিরেক্টর) এবং এমদাদুল হক সরকার (সিইও হারল্যান)।
রিমার্ক এইচবি পরিচালক শাকিব খান বলেন, ‘নকল ও ভেজাল পণ্য দিয়ে দেশের বাজার সয়লাব হয়ে গিয়েছে। দিনের পর দিন নকল পণ্যের পেছনে টাকা ব্যয় করে ভোক্তারা অর্থনৈতিক হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন। ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দিতে, জনসাধারণের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে আমি, আপনাদের ভালোবাসার শাকিব খান দেশের বাজারে রিমার্কের মাধ্যমে অথেনটিক কসমেটিকস প্রডাক্ট নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আমরা জানি যে স্কিন আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অর্গান এবং স্কিনের যত্নে আমরা বিভিন্ন সময় নানা রং ফর্সাকারী ক্রিম ও অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করি। সেই পণ্যগুলো যদি হয় ভেজাল, তা আমাদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ ক্ষতিকর।'
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আমরা নিজ কারখানায় সর্বোচ্চ গুণগত মান বজায় রেখে পারফেক্ট স্কিন কেয়ার পণ্য উৎপাদন করে থাকি, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ ব্যবহার করবে।
রিমার্ক হবে বাংলাদেশের প্রথম মডেল ইন্ডাস্ট্রি, যার মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নতুনভাবে জায়গা করে নেবে। দেশের স্কিনকেয়ার ও কালার কসমেটিকস সেক্টরের সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্কের মাধ্যমে আমদানিনির্ভর কসমেটিকস খাত একটি রপ্তানিযোগ্য শিল্প খাতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
স্কিনকেয়ার ও কসমেটিকসের ৫০-এরও অধিক ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করছে রিমার্ক, যার মাঝে হারল্যান, সিওডিল, নিওর, লিলি, ব্লেইজ ও স্কিন ইতিমধ্যেই ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে শাকিব বলেন, ‘আমার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি বেছে নিয়েছি দেশের সেরা রিটেইল কসমেটিকস চেইন হারল্যানকে।
সারা দেশের সব ধরনের মানুষের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পণ্য আরো সহজলভ্য করতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হারল্যানের নিত্যনতুন শোরুম উদ্বোধন হচ্ছে।
দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত হারল্যানের মোট ৪০টিরও বেশি আউটলেট রয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার শোরুম নিয়ে মানুষের কাছে অথেনটিক এবং কোয়ালিটি কসমেটিকস পণ্য পৌঁছে দেবে হারল্যান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে হারল্যানের সেবার পরিধি।’
শাকিব বললেন, ‘আমি আপনাদের আরো জানাতে চাই, আমাদের এই বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে দেশের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেই সাথে, আপনারা হয়তো জানেন যে বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ, আমরা এই সম্পদ যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের পণ্যগুলোর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করব। এর মাধ্যমে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন এক দুয়ার।’
শাকিব বললেন, ‘দেশের বিদ্যমান সকল নীতিমালা মেনে আমরা এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করব এবং নিজেদের দেশসেরা কম্পানি হিসেবে গড়ে তুলব।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সাধারণ মানুষের ভালোবাসার কারণেই আমি এত দূর এসেছি, এবার আমি আমার অথেনটিক কসমেটিকস পণ্যের মাধ্যমে আপনাদের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারব। এবং আমার মতোই আমার প্রডাক্টও পুরো দেশ ও দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী আমাদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’