বিনোদন ডেস্ক : সংগীতশিল্পী আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার সাথে সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। লামিয়ার সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসার সাথে বিয়ে করেন আরফিন রুমি। কিন্তু সেই বিয়ে বেশি দিন স্থায়ী হলো না। স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা আরফিন রুমি। ৩১শে জানুয়ারি তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন তিনি।
রুমি জানান, বিয়ের পর থেকেই কামরুন্নেসা তার কাজে বাঁধা দেয়া শুরু করে। এমনকি শুটিং পর্যন্ত ঠিকভাবে করতে দিত না। তাছাড়া পরিবারের সঙ্গেও সে বাজে ব্যবহার করতো সব সময়। ভেবেছিলেন সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। হয়েছে বিপরীত। কামরুন্নেসা ছেলেকে নিয়ে আমেরিকা চলে যায়। সেখানে গিয়ে শুরু হয় তার বেপরোয়া চলাফেরা। আগের স্বামীর সঙ্গে আয়ানকে নিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছে সে। এসব কারণে কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিয়েছেন রুমি।
২০১২ সালে আমেরিকাতে শো করতে গিয়ে কামরুন্নেসার সঙ্গে পরিচয় হয় রুমির। এরপর প্রেম, তারপর বিয়ে। রুমি-কামরুন্নেসার কোলজুড়ে আসে একপুত্র সন্তান। কামরুন্নেসাকে বিয়ে করার কয়েক মাসের মাথায় প্রথম স্ত্রী অনন্যার করা নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারেও যেতে হয়েছিলো রুমিকে। এরপর বিভিন্ন শর্ত মেনে অনন্যার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয় রুমির।
রুমি বলেন, কামরুন্নেসাকে বিয়ের পর থেকেই সে আমার কাজেও বাঁধা দেয়া শুরু করে। এমনকি শুটিং পর্যন্ত ঠিকভাবে করতে দেয় না। তাছাড়া আমার পরিবারের সঙ্গেও সে বাজে ব্যবহার করতো সব সময়। আমি ভেবেছিলাম সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। হয়েছে বিপরীত। সে আমাদের ছেলে আয়ানকে নিয়ে আমেরিকা চলে যায়। সেখানে গিয়ে শুরু হয় তার বেপরোয়া চলাফেরা। আগের স্বামীর সঙ্গে আয়ানকে নিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছে সে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একমাত্র সংসার ও ছেলে আয়ানের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি নিয়ে আমি খুব দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম। অবশেষে তাকে ডিভোর্স দিতেই হলো।
এদিকে মঙ্গলবার রুমির আইনজীবি আবদুর রহিম কামরুন্নেসার বাবাকে ফোন করে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি সরাসরি অবগত করেন। জানা যায়, কামরুন্নেসা পুত্রসহ গত ছয়মাস ধরে অবস্থান করছেন আমেরিকায়। সেখান থেকে বুধবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস