বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১২:৫৮:২৪

দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স: মা-ছেলের দুই কথা

দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স: মা-ছেলের দুই কথা

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় আরেফিন রুমির দ্বিতীয় সংসারও ভেঙে গেল। কিন্তু কি ছিল তার নেপথ্য কারণ। দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার নেপথ্য কারণ নিয়ে বক্তব্যের সঙ্গে তার মায়ের বক্তব্যের মিল নেই।

বুধবার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমি দাবি করছেন, দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসা তার মাকে গালাগালি করতেন, অবাধ্য ছিলেন আর তাকে মানসিক অত্যাচার করতেন।

ফেসবুক পেজে আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন রুমি। তিনি বলেছেন, ‘তালাক দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, সে (কামরুন্নেসা) আম্মুকে গালাগালি করত। সে আমার বাধ্যগত ছিল না। জানি, সবার বাসায় অনেক কিছুই হয়। আমার কিছু বলার ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা, নিজে বাঁচলে তবেই তো নিঃশ্বাস নেব। আসুন কথা বলি আমরা ক্যারিয়ার নিয়ে। কারণ এর জন্যই সবকিছু।’

কামরুননেসা তার কাজেও বাধা দিতেন বলে অভিযোগ করেন, ‘কাজ যদি না করতাম, সবাই বলত- বেকার। কাজ করছি। কাজেও সে  বাধা হয়। তালাকের এটাও একটা কারণ। একজন গায়ক যদি লাইট হয়। আর সে লাইটকেই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো হলো না। সে স্টুডিওতে পর্যন্ত কাজ করতে দিত না। এটাই আসলে বড় কারণ। আমি আমার বেবি ও কামরুন্নেসা দুজনকেই মিস করি। অনেক। কিন্তু সে আমার কথা বুঝল না। আর কী করা! পৃথিবাটা অনেক বড়। আর একটা কথা আমি টাকা উপার্জন করে আনি অথচ আমার বাধ্যগত যদি না থাকে তাহলে আমি তাদের জন্য কেন করব? সত্যিই কিছু করার ছিল না।’

তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী অনন্যার ঘরের ছেলে আরিয়ানকে কাছে আনতে দিত না বলেও রুমির অভিযোগ।

তবে তার মা নাসিমা আক্তার বলছেন, ‘রুমি জানতো কামরুন নেসা তালাক প্রাপ্তা। কিন্তু বছরখানেক আগে জানা গেল কামরুন নেসার আরেক স্বামী আছে। তার নাম সোহাগ আলী। থাকে নিউইয়র্কে। রুমির চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা বলতো কামরুনন্নেসা।

তিনি আরো বলেন, একদিন তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে রুমি। রুমির কথা হলো, একজন নারীর একসঙ্গে দুইটা স্বামী থাকতে পারে না। কিন্তু কামরুন্নেসা বিষয়টা মাথায় নেয়নি। ছয়মাস রুমির কাছে থাকে আর বাকি ছয়মাস আমেরিকায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে কাটায়। এসব বলতে গেলে কামরুন্নেসা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।’

জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসাকেও ডিভোর্স দেন আরেফিন রুমি। গত মঙ্গলবার রুমির আইনজীবী আবদুর রহিম কামরুন নেসার বাবাকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি অবগত করেন।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে