বিনোদন ডেস্ক : রুপালি পর্দার তারকাদের নেই ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। প্রিয় তারকা ছোটবেলায় কোথায় থেকেছেন, কোন স্কুল-কলেজে পড়ালেখা করেছেন, প্রথম প্রেম কীভাবে শুরু হয়েছিল, কীভাবে প্রেমে পড়লেন এবং পারিবারিক জীবনসহ নানা বিষয় জানতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ভক্তদের জন্য সেসব জানা আরো সহজ হয়েছে। কারণ, তারকারাও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রাখার কারণে সহজেই ভক্তদের এসব জানাতে পারেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। আর ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার বিয়ের আসরে বসেও বেশ আলোচিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মাত্র ১০ বছর বয়সে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। যদিও তা কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল না। তবে এর ঠিক ছয় বছর পর ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পর্দায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায় তাকে।
একই বছর বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু সেই সংসার টিকে উঠেনি। ডিভোর্স হয়। এরপর অবশ্য আরো দু’বার বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তার ক্ষেত্রে ডিভোর্স যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকারও হতে হয়েছে বারবার। এবার কি তাহলে চিনতে পেরেছেন ছবির মানুষটিকে?
হ্যাঁ, ছোটবেলার এই ছবিগুলো টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির। তার প্রথম সিনেমা ছিল ‘মায়ার বাঁধন’। ২০০৩ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় তার। একই বছর পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। তার দুটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে এই সংসার টিকেনি। ২০১৬ সালে ডিভোর্স হয় তাদের। এরপর মডেল কৃষাণ ব্রিজকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। সেই সংসারও অবশ্য বেশিদিন টিকেনি। এক বছর পরই ডিভোর্স হয়।
এরপর ২০১৯ সালে রোশন সিংকে বিয়ে করেন। কিন্তু এবারও বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই জটিলতা দেখা দেয় তাদের মধ্যে। এখনো আদালতে ডিভোর্সের মামলা চলমান রয়েছে তাদের। ফলে ব্যক্তিজীবনে একাধিকবার বিয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হয়ে থাকেন তিনি। আর এখনো মাঝে মাঝে প্রেম প্রস্তাব পেয়ে থাকেন এ অভিনেত্রী।
এদিকে তারকাদের একাধিক বিয়ে নিয়ে ট্রোলের ব্যাপারে কিছুদিন আগেই অবশ্য বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শ্রাবন্তী। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা খুব সফট টার্গেট। কারণ আমরা পাবলিক ফিগার। যেকোনো ইস্যুতে টানা হয়। এ কী? এটা (একাধিক বিয়ে) কেবলই তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এখানে তো এত কথা বলার কিছু নেই। আমি মনে করি যার সঙ্গে যা হচ্ছে, যে যেখানে ভালো থাকে, সেভাবে থাকুক। কেননা, জীবন তো একটাই। আমার মতে জীবনে ভালো থাকাই গুরুত্বপূর্ণ।’