রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:৩০:০৪

হতাশ করল ক্যাটরিনার প্রেম!

হতাশ করল ক্যাটরিনার প্রেম!

বিনোদন ডেস্ক : ক্যাটরিনা কাইফের প্রেম নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। বাস্তব জীবনে প্রেমের টানাপোড়েনের মাঝেই দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে তাকে। সালমান থেকে রণবীর আবার রণবীর থেকে সালমানের নিকট। এই যখন অবস্থা ঠিক তখনি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা 'ফিতুর'। এই সিনেমায়ও নাকি তার প্রেম দর্শকদের হতাশ করেছে! পরিচালক অভিষেক কাপুর ২০১৩ সাল থেকে এই সিনেমাল শুটিং শুরু করেছেন। আর শেষ করেছেন ২০১৫ সালের শেষের দিকে। এই সিনেমাটি ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারী।

অনেকেই মনে করছেন পরিচালকের মাথায় বোধ হয় জেদ চেপে গিয়েছিল। যেই ভাবেই হোক ছবিটা এবার শেষ করতেই হবে! রেখার এই ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল কিন্তু তিনি অভিনয় করবেন না? তাতে কি হয়েছে? ক্যাটরিনা কাইফ বিশেষ কিছু দৃশ্যে ফের শুট করবেন না? বয়েই গেছে! কিন্তু, ছবি এবার শেশ করতেই হবে!

ফলে, ছবি তৈরি হয়ে গেল এবং সেই রকমই হল! মানে, জেদের মাথায় বানানো একটা সুন্দর দেখতে অর্থহীন ছবি। সেখানে কয়েক জন ভাল অভিনয় করলেন, কয়েক জন পুরোই চমকে দিলেন কয়েক মিনিটের মধ্যে এবং বেশির ভাগ অভিনেতাই হতাশ করলেন।

আসলে, পরিচালক চার্লস ডিকেন্সের দ্য গ্রেট এক্সপেকটেশনস্ উপন্যাসটা নিয়ে ভেবেছেন কম। দেখেছেন কেবল বইটার কিছু চমকে দেয়ার মতো চরিত্রকে। আর, নায়ক-নায়িকার প্রেমের টানাপোড়েনকে। তাতেই বোধ হয় তার মনে হয়েছে, আরে এটা নিয়ে তো চমৎকার ছবি নির্মাণ করা সম্ভব!

তার সঙ্গে তিনি জুড়তে চেয়েছেন সম সময়কে। তাই, পটভূমি হিসেবে ব্যবহার করেছেন কাশ্মীরকে। আর, সঙ্গে সঙ্গে দর্শককে হতাশ করার দিকে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে তার ছবি। শিকারা, চিনার গাছের পাতা, আতঙ্কবাদ, বিস্ফোরণ- ব্যস! এখানেই কাশ্মীর নিয়ে পরিচালকের নিজস্ব ভাষ্য খতম! ফলে, দর্শকের পাওনা? কিছুই না! স্রেফ কয়েকটা সুন্দর ফ্রেম দেখা ছাড়া!

গোটা ছবিটায় ভাল বলতে কেবল ওইটুকুই! সুন্দর ফ্রেম, সুন্দর নিসর্গ, সুন্দর কস্টিউম দেখা। এটা অস্বীকার করে লাভ নেই, সারা ছবি জুড়েই অভিনেতাদের খুব ছিমছাম এবং সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন পরিচালক। ক্যাটরিনা কাইফ আগাগোড়া ছবিতে বহন করেছেন কাশ্মীরের সৌন্দর্যকে। পরিচালক ক্যাটরিনার লুকে এবং নানা চরিত্রের জবানবন্দিতে তাকে মূর্তিমতী কাশ্মীর হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন।

কাশ্মীর মানে যদি শুধুই সৌন্দর্য হয়, তবে তার ব্যাখ্যা পাওয়া গিয়েছে। আর অভিনয়? ক্যাটরিনাকে পরিচালক দেখাতে চেয়েছেন শুধুই এক সৌন্দর্য প্রতিমা হিসেবে। অভিনয়ের জায়গা ক্যাটরিনার ছিল না। ফলে, সেটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। তাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, সেটা সুন্দর ভাবেই পালন করেছেন ক্যাটরিনা।

চমকে দিয়েছেন আদিত্য রায় কাপুর। তিনিই ঘাড়ে করে টেনে নিয়ে গিয়েছেন ছবিটাকে। একবারের জন্যও তার অভিনয় দেখতে গিয়ে হতাশ হবেন না দর্শক। তার পেশির দরকার ছিল কি না, সেটা আলাদা ব্যাপার। ওটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই!

আর টাবু? দুঃখের কথা, পরিচালক তার হায়দার-এর ইমেজটাকেই ব্যবহার করেছেন প্রাণ খুলে। ফলে, সুঅভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও এক একটা সময়ে টাবুকে দেখতে বিরক্ত লাগে!

এর বাইরে ছবিতে চমকে দিয়েছেন দুজন! অজয় দেবগন আর অদিতি রাও হায়দারি। বেগম হজরতের ছোটবেলার চরিত্রে অদিতি রাও হায়দারিকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়। তেমনই এক আতঙ্কবাদীর চরিত্রে অজয় দেবগনকে দেখলে গা শিউরে ওঠে! আর, খুব ছোট এক চরিত্রে ছবিতে মুগ্ধ করেছেন তালাত আজিজ। বাদ বাকি আর তেমন কিছু বলার নেই!

ছবিটি পরিচালনা করেছেন, অভিষেক কাপুর এবং প্রযোজনা করেছেন, সিদ্ধার্থ রায় কাপুর। আর এই ছবিতে অভিনয় করেছেন, টাবু, অজয় দেবগন, ক্যাটরিনা কাইফ, অদিতি রাও হায়দারি, আদিত্য রায় কাপুর প্রমুখ।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে