বিনোদন ডেস্ক : ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মারা যান মহানায়ক উত্তমকুমার। তার মৃত্যুর পর কেটে গেছে চার দশকের বেশি সময়। এখনো বাংলা সিনেমাপ্রেমী মানুষের কাছে মহানায়ক হিসেবেই বেঁচে আছেন তিনি।
ভারতীয় বাংলা সিনেমার আরেক দর্শকপ্রিয় অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জি। উত্তমকুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। কয়েক দিন আগে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন বিপ্লব। এ আলাপচারিতায় উত্তমকুমারের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন ৭৭ বছর বয়সি এই অভিনেতা।
আলাপচারিতার শুরুতে জানতে চাওয়া হয়, এখনো মহানায়ক বলতে উত্তমকুমারকে কেন বোঝেন? এ প্রশ্নের উত্তরে বিপ্লব চ্যাটার্জি বলেন, ‘উত্তমকুমার এমনি এমনি মহানায়ক নন। পাকা অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি বিরাট উদার মন থাকতে হয়, তবেই সেই শিল্পী মহানায়কের আসনে বসতে পারেন। উত্তমকুমারও তাই ছিলেন। জানেন, নেপালগঞ্জে প্রায় ৫০ কাঠা জমি কিনে তা দান করে দিয়েছিলেন উত্তমদা, টলিপাড়ার দুঃস্থ টেকনিশিয়ানদের জন্য। প্রায় ৫০টি ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হবে, এই আশায়।’
উত্তমকুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। শুটিং সেটে কি সবার সঙ্গে মেলামেশা করতেন? উত্তরে বিপ্লব চ্যাটার্জি বলেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ। যেকোনো টেকনিশিয়ান ওনার কাছে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলতে পারতেন। আমাদের মতো জুনিয়র আর্টিস্টদের সঙ্গে যেভাবে আড্ডা দিতেন, গল্প করতেন, যেভাবে কাজে উৎসাহ দিতেন আজকালকার প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ভাবতেও পারবেন না।’
কোনো ঘটনা মনে পড়ে? স্মৃতিচারণ করে বিপ্লব চ্যাটার্জি বলেন, ‘অনেক, অনেক। আমার আর সন্তু মুখার্জির অনেক স্মৃতি। সন্তু মানে স্বস্তিকার (স্বস্তিকা মুখার্জি) বাবা কম আড্ডা মেরেছেন? গাড়ি চালিয়ে দূর থেকে নিজের হাতে আমাদের জন্য রুটি-কাবাব কিনে এনেছিলেন।’
টেকনিশিয়ান-পরিচালকদের দ্বন্দ্বে টলিপাড়া এখন উত্তাল। আজ যদি উত্তমকুমার বেঁচে থাকতেন তবে কি হতো? জবাবে বিপ্লব চ্যাটার্জি বলেন, ‘এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় যেসব বিরাট মাপের সব অভিনেতারা রয়েছেন, তাদের দেখে এক ছুটে পালিয়ে যেতেন!’