রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:০৯:১৭

‘ন্যায় বিচার না পায়, তবে আমি বিদ্রোহ করব, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শতশত শহীদ রক্তে আগুন জ্বালিয়েছে, ইনসাফ চাই, ন্যায়বিচার'

‘ন্যায় বিচার না পায়, তবে আমি বিদ্রোহ করব, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শতশত শহীদ রক্তে আগুন জ্বালিয়েছে, ইনসাফ চাই, ন্যায়বিচার'

বিনোদন ডেস্ক : বর্তমান সময়ের সঙ্গীতাঙ্গনের প্রতিবাদী এক কণ্ঠস্বরের নাম মাহমুদ হাসান তবিব। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সামাজিক সচেতনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক গান করে প্রশংসা কুড়িয়ে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই ছাত্র। 

২০১৯ সালে কামরাঙ্গীরচরে বেড়ে ওঠা পথশিশু রানাকে নিয়ে তিনি গেয়েছিলেন ‘গল্লি বয়’। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গান প্রকাশ করেছেন এই তরুণ। এর মধ্যে তার একটি গান পৌঁছে গেছে বলিউডেও। 

গান দিয়ে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র সম্প্রতি নিজের পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি অবিচারের ঘটনা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে কীভাবে অন্যায়ের শিকার হয়েছেন তার বাবা। 

এক ফেসবুক স্ট্যাটসে তবিব লিখেছেন, ‘২০১৮ সালে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আপেল, বশিরসহ আরও কিছু নেতা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিজ কক্ষে বন্দি করে। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকের থেকে জোরপূর্বক সাইন নিয়ে তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করে ও পরে চাকরিচ্যুত করে। সেদিন এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন নজরুল ইসলাম চঞ্চল স্যার যাকে তখনই অমানবিক নির্যাতন করা হয়। চঞ্চল স্যার আজ পৃথিবীতে নেই। জুলুমের শিকার হওয়া এই চাকরিচ্যুত অধ্যক্ষ আমার পিতা জনাব মুহাম্মদ ফজলুর রহমান।’

তিনি লেখেন, ‘‘সেদিন আম্মু আমাকে ফোন দিয়ে বলল, ‘ওরা তোমার আব্বুকে বন্দি করেছে। তাকে তুলে নিয়ে যাবে। তুমি কিছু করো।’ আমি ঢাবির কলা ভবনের চতুর্থ তলায় আরবি বিভাগের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মায়ের আর্তনাদ শুনছিলাম আর দেখছিলাম অপরাজেয় বাংলার সামনে দিয়ে শোডাউন যাচ্ছে—জয় বাংলা।’’

ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে এই গায়ক আরও লিখেছেন, ‘চোখের কোনে এক ফোটা পানি…আজও আমার পিতা চাকরিচ্যুত। যদি আমার পিতার মতো হাজার হাজার নির্যাতিত শিক্ষক এখন ন্যায় বিচার না পায়, তবে আমি বিদ্রোহ করব। আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শতশত শহীদ রক্তে আগুন জ্বালিয়েছে। ইনসাফ চাই, ন্যায়বিচার।'

সবশেষ তবিব লেখেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমি ঢাবিতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন সমালোচনায় গান প্রকাশ করতে থাকি। যে কারণে সবচেয়ে বেশি চাপ আসে আমার পরিবারের ওপরে। আমি কখনোই কাউকে বুঝতে দেইনি, কতটা চাপে আছি। কঠিনতর মুহূর্তেও আলহামদুলিল্লাহ বলে শুকরিয়া আদায় করেছি। এটাই আমার দর্শন। 

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে একটি সংবাদমাধ্যমকে তবিব জানান, মানুষের সাম্য-অধিকার নিয়ে গান তৈরি করলেও তিনি এবং তার পরিবারই হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। যে কারণে প্রয়োজনে বঞ্চনার শিকার শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলনে নামবেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে