বিনোদন ডেস্ক: শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই ভালোবেসে সালমা আসিফ মিতুর সঙ্গে সংসার বাঁধেন তিনি। অল্প বয়সে বিয়ে ও সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন এই দম্পতি। এরই মধ্যে বড় ছেলেকেও বিয়ে দিয়েছেন আসিফ।
ছেলে-মেয়েদের ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়ার পক্ষে গায়ক আসিফ। এবার জানালেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে আসিফ তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এ গায়ক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা-মা হতে পারে, আমরাও দাদা/নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে।’
সন্তানের বিয়ের জন্য বাবা-মা এগিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে আসিফ আকবর বলেন, ‘কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে! এরমধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়। স্বর্নের ভরি এখন এক লাখ পয়ত্রিশ হাজার টাকা। অন্যান্য সামাজিকতার খরচ ধরলে কেউ ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে না। সন্তানদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাবা-মাকে।’
আন্দোলনে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিয়ে আসিফ আকবর বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দেলেনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর অথচ আমি ওই বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা, ব্যাংক ঋণ দিবে এবং সেটা দূরবর্তী সময়ের কিস্তিতে আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে কোনো প্রেসার ছাড়া। সেই সাথে কাবিননামার ফাঁদ থেকেও বাঁচতে হবে। আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটা ফ্রি টিপস দিলাম, এখনই সময়।’
দাদা হতে চান আসিফ আকবর। তা নিয়ে বড় ছেলের সঙ্গে কথাও বলেছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে আসিফ আকবর বলেন, ‘এদিকে, দেখতে দেখতে আমার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ এবং শেহরীন ঈশিতার দ্বিতীয় বিয়ে বার্ষিকী পূরণ হয়েছে আজ। দুজনেই কানাডার টরন্টোয় স্টাডিতে আছে। তবে আপাতত দাদা হওয়ার মতো কোনো সুখবর নেই। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো প্ল্যান নাকি আছে। বললাম, তোমার জন্মের সময় কোনো প্ল্যান আমাদের ছিল না অথচ দুর্ভাগ্য তোমার কাছ থেকে প্ল্যানের গল্প শুনতে হলো।’
ছোট ছেলে রুদ্রর বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আসিফ বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই ঘটুক ২০২৬ সালের শুরুতেই আমার ছোট ছেলে শাফায়াত রুদ্রর বিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ, সেই অপেক্ষায় অস্থির হয়ে আছি। রণ-ঈশিতা তোমাদের বিয়ে বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আনন্দে বাঁচো বাবা। ভালবাসা অবিরাম।’