বিনোদন ডেস্ক : ভারতের বান্দ্রার বস্তি থেকে বিশ্বখ্যাত বিলাসবহুল বিউটি ব্র্যান্ড এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বনে যাওয়া ভাগ্যবতী মডেল ও অভিনেত্রী মালিশা খারওয়া। আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট হফম্যানের কারণে বদলে যায় তার অগোছালো জীবন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং করতে মুম্বাই আসেন আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট। তখন করোনা মহামারির সময় হওয়ায় লকডাউন জারি হলে কাঙ্খিত স্থানে আর শুটিং করতে পারেন না অভিনেতা।
এরপর অভিনেতার শুটিং স্থান নির্ধারিত হয় একটি বস্তিতে। মিউজিক ভিডিওটি তৈরির মূল লক্ষ্য ছিল শুধু দুঃখ আর দারিদ্র নয়, বস্তিবাসীদের অধ্যবসায়ী জীবনের গল্পও তুলে ধরা।
মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের জন্য রবার্ট হফম্যানের বন্ধু প্রথম মালিশার কথা বলেন। ইউনিক চেহারার জন্য যখন হফম্যান তাকে দেখার জন্য মালিশার বাসায় গেলেন তখন তিনি ভাবেন, মিউজিক ভিডিওর ছোট ওই অংশের জন্য মালিশা উপযুক্ত নয়। যে কারণে বন্ধুর চাচাতো ভাইকে সে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করানো হয়।
এদিকে আলাদা করেই হফম্যানের নজরে পড়ে মালিশাকে। সুপার মডেল হওয়ার স্বপ্ন ভরা ছোট্ট সে শিশুর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। ‘গো ফান্ড মি’ নামে একটি পেজ খোলেন। এরপরই ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায় মালিশার।
এরপরই মালিশাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ফটোগ্রাফার সাশা জয়রাম। বিভিন্ন স্টাইলে মালিশার ছবি তুলে পোর্টফোলিও তৈরি করে দেন বিনা পারিশ্রমিকে।
এরপর ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে শুরু করে মালিশা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও হতে শুরু করে জনপ্রিয়। এক সময় মালিশা হয়ে ওঠেন বিশ্বখ্যাত বিলাসবহুল বিউটি ব্র্যান্ড 'ফরেস্ট এসেনশিয়ালস', 'দ্য ইয়ং কালেকশন'-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। কসমোপলিটানের মতো ম্যাগাজিনের কভার গার্ল হয়েছেন। এমনকি মডেলিংয়ের পাশাপাশি ‘লাইভ ইওর ফেয়ারটেল’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন মাত্র ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট হফম্যানের সঙ্গে মালিশার পরিচয় হয় ১২ বছর বয়সে। এরপরই অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে বস্তিতে থাকাকালীন সে বছরই ক্যারিয়ার হিসেবে মালিশা শুরু করেন তার স্বপ্নের পেশা মডেলিং ও অভিনয়। আর সুনাম কুড়ান শুধু ভারতে নয়, পুরো বিশ্বে।