বিনোদন ডেস্ক : ৯০-এর দশকে বলিউড কাঁপাচ্ছিলেন সংগীত শিল্পী কুমার শানু ওরফে কেদারনাথ ভট্টাচার্য। ১৯৮৮ সালে তার প্রথম প্লে ব্যাক। গান করেন ‘হিরো হীরালাল’ ছবিতে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই পরকীয়ায় নাম জড়ায় কুমার শানুর।
জনপ্রিয় নায়িকা মীনাক্ষী শেশাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের জল্পনায় মুখর হয়ে ওঠে বলিপাড়া। বলা হয়, এই সম্পর্কের জন্য নাকি ঘরও ভাঙে কুমার শানুর। ১৯৯০ সালেই মুক্তি পায় মহেশ ভাটের ছবি ‘জুর্ম’। বিনোদ খান্না, মীনাক্ষী শেশাদ্রি, সঙ্গীতা বিজলানি অভিনীত ছবিটির ‘যব কোয়ি বাত বিগড় যায়ে’ গানটি তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। গানটি গেয়েছিলেন কুমার শানু এবং সাধনা সরগম।
কুমার শানুর গলায় গানটি শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন মীনাক্ষীও। ‘জুর্ম’ ছবির প্রিমিয়ারে আলাপ হয় কুমার শানু আর মীনাক্ষীর। আলাপ, বন্ধুত্ব, ভালোলাগা থেকে ভালবাসা। ছুটতে থাকে তাদের প্রেমের রেলগাড়ি। সেই সময় কিন্তু কুমার শানু বিবাহিত ছিলেন। বলিউডে পা রাখার আগেই রীতা ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছিলেন শানু।
ততদিনে তাদের দাম্পত্য জীবন ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভালোবাসা তো অন্ধ! শানু বিবাহিত জেনেও তাকে মনের কথা জানান মীনাক্ষী। শানুও তখন মীনাক্ষীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। গোপনেই প্রায় ৩ বছরের বেশি চলে তাদের প্রেমকাহিনি।
কিন্তু ১৯৯৩ সালে কুমার শানুর সচিব এই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান। প্রকাশ্যেও বলেও ফেলেন, ‘কুমারের অনেক বান্ধবী আছেন। জনপ্রিয় নায়িকা মীনাক্ষী শেশাদ্রির সঙ্গেও তিনি প্রেম করছেন।’
এই কথা যায় কুমার শানুর স্ত্রীর কানে। তারপর ১৯৯৪ সালে রীতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় শানুর। সম্পর্কের ভাঙনের জন্য তিনি মীনাক্ষীকেই দায়ী করেছিলেন। অন্যদিকে, ততোদিনে বলিউডে মীনাক্ষীর হাতে কাজ কমতে শুরু করেছে।
শেষমেশ ১৯৯৫ সালে আমেরিকার এক জন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। তিনি আপাতত থাকেন টেক্সাসে। ভরতনাট্যম, কত্থক এবং ওডিসি নাচের প্রশিক্ষণ দেন। অভিনয় জগত থেকে নিজেকে বহুদূরে সরিয়ে রেখেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা। এদিকে, রীতার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর সালোনিকে বিয়ে করেন কুমার শানু। প্রথম পক্ষের তিন সন্তান এবং দ্বিতীয় পক্ষের দুই সন্তান রয়েছে শানুর।