আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিপদে পড়লেন ওপার বাংলার গায়িকা জোজো মুখার্জি। ছেলে অদীপ্ত খেলার ছলে গিলে ফেলে বন্দুকের গুলি। বিষয়টি টের পেয়েই সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান শিল্পী।
বৃহস্পতিবার শুটিং সেরে এসেই জোজো তার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকদের তৎপরতায় ছেলের পেট থেকে গুলি বের করা হয়েছে।
জোজো ছেলের একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, অদীপ্ত ঘুম থেকে উঠেছে। এখন একটু ভালো বোধ করছে। গতকাল ডিনারের সঙ্গে খেলনা বন্দুকের বুলেট খেয়েছিলেন লুকিয়ে। হাসপাতালে বমির সঙ্গে সেটা বের করে দিয়ে এখন একটু স্বস্তি পেয়েছে।
জোজো যে ছবিটি পোস্ট করেছে সেখানে অদীপ্তকে নীল রঙের টি-শার্ট পরে, বিছানার ওপর বসে থাকতে দেখা গেছে। আগামী মাসেই চার পেরিয়ে পাঁচ-এ পা দেবে আদি। ছেলেকে সবসময়ই আগলে রাখেন জোজো। তবে এমন বিপদ যে ঘটতে পারে, ভাবতেও পারেননি শিল্পী।
এক সংবাদমাধ্যমকে গায়িকা জানিয়েছেন, খেলনা বন্দুকের বুলেট চকলেট ভেবে খেয়ে ফেলেছে। চিবিয়ে খেয়ে নেয়। এরপর ডিনার হজম করতে অসুবিধা হচ্ছিল।
জোজো যখন বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরে তখন ছেলে ঘুমালেও পরে খুব কান্নাকাটি শুরু করে। জোজোর আঙুলটা নিয়ে অদীপ্ত তার মুখের ভেতর দিচ্ছিল। কষ্ট হচ্ছে বোঝা যাচ্ছিল। অনেক চেষ্টা করেও কিছু না হওয়ায় রাত ১২টার সময় গায়িকা তার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যান।
হাসপাতালে চিকিৎসার সময়ই অদীপ্ত বমি করতে শুরু করে। তখনই জোজো দেখেন বুলেটের টুকরো। এরপরই হাসপাতালের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জোজো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন।
সেখান থেকে জানা যায়, ছেলে এখন সুস্থ আছে। বৃহস্পতিবার গোটা রাত খুব উৎকন্ঠায় কেটেছে গায়িকার। অদীপ্ত এখন সুস্থ হওয়ায় গায়িকা স্বস্তিতে ফিরেছেন।
আগামী মাসেই চার পেরিয়ে পাঁচ-এ পা দেবে আদি। জোজো অদীপ্তকে দত্তক নিয়ে মানুষ করছে। ৫০-এর গণ্ডি পেরিয়ে ফের মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই শিল্পী। তার মেয়ে বাজোর বয়স এখন ২৮ বছর।