বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের যে কয়েকজন মুষ্ঠিমেয় অভিনয় শিল্পী মঞ্চ, বেতার, টিভি ও চলচ্চিত্রে সমানভাবে সফল তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে আছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। ১৯৫২ সালের ১৫ জুন ঢাকায় রাইসুল ইসলাম আসাদের জন্ম।
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন আসাদ। আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
তার টিভি নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ‘শ্যাওলা’, ‘গহর গাছি’, ‘পৌষ ফাগুনের পালা’, ‘হৃদয়ের ছবি’, ‘চিঠি আসে না’ ইত্যাদি। এর মধ্যে ২০০২ সালে রাজশাহীর বাঘায় ধারণকৃত ‘গহর গাছি’ ভক্তদের হৃদয়ে আজও যেন দাগ কেটে আছে।
কখনো পদ্মা পাড়ের ‘কুবের’ আবর কখনো ‘লালন সাইজি’- কোনটাতে তিনি সফল নয়? কিংবদন্তী এই অভিনেতা এখন কি করছেন?
না। তিনি নাটক ছেড়ে চলে যাননি। বরং আজ তিনটি চ্যানেলে প্রচারিত হবে রাইসুল ইসলাম আসাদ অভিনীত একুশে ফেব্রুয়ারির বিশেষ তিনটি নাটক। এর মধ্যে চ্যানেল আইতে লাল পলাশের মাস, দেশ টিভিতে সাদা ও এনটিভিতে নায়ক।
নাটকগুলো সম্পর্কে আসাদ বলেন, ‘তিনটি নাটকের গল্প এবং নাম আমার ঠিকমতো মনে নেই। এত কিছু কীভাবে মনে রাখব! সবার এত ব্যস্ত জীবন। আমি এই মুহূর্তে একটা শুটিংয়ে আছি। তাই এটা নিয়েই আমাকে ভাবতে হচ্ছে।’
এই সময়ের নাটক সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে কিছু বলার নেই। যে পরিস্থিতিতে নাটকগুলো তৈরি হয়ে এখনো চলছে, এতে আমি অবাক হয়ে যাই। একটি ভালো কাজ করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তার চার ভাগের এক ভাগ দিয়ে নাটক তৈরি হচ্ছে। যে সময়ের প্রয়োজন, তার এক-চতুর্থাংশ সময়ের মধ্যে নাটকটি নির্মাণ করতে হচ্ছে। যাঁরা ভাবনাচিন্তা করে অভিনয় করবেন, তাঁদেরও ওইটুকু সময়ের মধ্যে অভিনয় করতে হচ্ছে। তাই আলাদা করে ভাবনাচিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সময়হীন। তাই সময়হারা পৃথিবীতে সময়হারা মানুষের কাছ থেকে ভালো কাজ আশা করা যায় না।’
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম