বিনোদন ডেস্ক : হিমশীতল বাতাসের কারণে দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। কনকনে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সড়ক-মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।
ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা মেলা ভার। এই শীতে গায়িকা ফাতিমা তুয-যাহরা ঐশী কেমন আছেন, সাধারণ মানুষের জন্য কী ভাবছেন তা জানিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী।
শীত নিয়ে আমার যত স্মৃতি, তার পুরোটাই স্টেজ শোনির্ভর। ক্লাস ফোর থেকেই পেশাদার শিল্পী হিসেবে শো করি।
এমনও হয়েছে, স্টেজে ওঠার আগে থরথর করে কেঁপেছি। তবে যেই মাইক্রোফোন হাতে ধরেছি সঙ্গে সঙ্গে শরীর গরম হয়ে গেছে। কোনো রকম একটা গান করতে পারলেই হয়েছে, আমার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকও নেচেছে। বুঝতেই পারছেন শীত নিয়ে অতটা ভয় কোনোকালেই ছিল না।
নোয়াখালী থেকে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার সময় থেকে শীত কিছুটা মিস করি।
তবে বছরের একটি দিন সবাই মিলে নোয়াখালী গিয়েছি। বাড়ির উঠোনে বড় হাঁড়িতে হাঁসের মাংস রান্না করেছি। রুটি দিয়ে সবাই মিলে খেয়েছি। আড্ডা দিয়েছি।
শীত আসলে উপভোগ করার মৌসুম। আমার কিন্তু অ্যাজমাটিক সমস্যা আছে। সামান্য ঠাণ্ডা লাগলেই সারতে সময় লাগে। তার পরও আমার পছন্দের ঋতু এই শীতকাল। কারণও আছে। আমাদের যত স্টেজ শো হয়, তার সিংহভাগই কিন্তু শীতকালে।
শীতে আমি কণ্ঠ ঠিক রাখার জন্য মসলা চা খাই বেশির ভাগ সময়। একটু এলাচি দিয়ে, লং মিশিয়ে চা করে খেলে বেশ তৃপ্তিও লাগে। আমাদের দেশে এখনো অনেকে দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। তাদের জন্য শীতকালটা বেশ কষ্টের। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এই শীতে তারাও ভালো থাকতে পারে। যার যার অবস্থান থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইল। শীতে চামড়া একটু শুষ্ক হয়ে যায়। এটার জন্য তো প্রসাধনীর বিকল্প নেই। ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, লিপজেল অবশ্যই ব্যাগে রাখি। অন্যদের ক্ষেত্রেও সেটা রাখতে বলব।
আজ (গতকাল) আমার নতুন গানের টিজার প্রকাশ পেয়েছে। ‘বাজার ভালা না’ শিরোনামের গানটি আমার সঙ্গে গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত করেছেন শাহরিয়ার মার্সেল ভাই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এই গানে আমার আর মার্সেল ভাইয়ের সঙ্গে মডেল হয়েছেন আমার স্বামী আরেফিন জিলানি। আশা করি, গানটি সবাই শুনবেন।