বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। দীর্ঘদিন পর্দার বাইরে থাকলেও দর্শকের আগ্রহের কমতি নেই এই নায়িকাকে নিয়ে। যদিও এখন সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হয়েছেন তিনি। এদিকে নতুন সিনেমায় আসার কথা জানালেও এখনও শ্যুটিং নিয়ে কিছু বলেননি।
মাঝে মাঝে সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে ধরা দেন শাবনূর। সেখানে আর সবার মতোই নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগার কথা ভাগ করে নেন অনুরাগীদের মাঝে। যদিও এই নায়িকা অন্য সবার মতো বিতর্কে পড়েন না, তবে এবার যেন অহেতুক বিতর্কের মুখেই পড়েছেন তিনি।
গত সোমবার নিজের নতুন রূপে ভক্তদের সামনে হাজির হন শাবনূর। সেখানে প্রকাশিত একটি ছবিতে খানিকটা খোলামেলা অবতারেই দেখা মেলে নায়িকার। সেইসঙ্গে অভিনেত্রীর মুটিয়ে যাওয়া লুকও ফুটে ওঠে। এর ফলে হতাশ হন তার ভক্তরা।
কিন্তু শুধু হতাশা প্রকাশই না, ভক্তরা ট্রলও করেন শাবনূরকে। অযথা বিতর্ক কিংবা ট্রলে পড়ার কারণে তাই আর চুপ থাকতে পারলেন না নায়িকা। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে ‘সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই!’ শিরোনামে এক লম্বা পোস্ট দেন শাবনূর।
সেই পোস্টে শাবনূর লেখেন, ‘অনেকে হয়তো জানেন যে আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মতো করে হ্যান্ডেল করি। কোনো অ্যাডমিন নিয়োগ দেইনি। আমার যখন যেটা ভালো লাগে, নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ বা বিশেষ কোন আনন্দ-বেদনার বিষয় থাকলে তা সবার সাথে শেয়ার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত রয়েছি। যে ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি সেগুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এমনকি কেউ কেউ আমার ড্রেসআপ নিয়েও উদ্ভট প্রশ্ন তোলেন।’
শাবনূর লেখেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে আমি সচরাচর ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতেই অভ্যস্ত, এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর কে কি পরবে সেটাতো তার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তাই না! যদি আমার শেয়ার কৃত কোনো কিছু কারো ভালো না লাগে তবে শালীনতার সঙ্গে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু রিপিটেডলি আজেবাজে মন্তব্য যেন না করেন, তা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর একান্তই যদি আমার একটিভিটিস কারো পছন্দ না হয় তবে আমাকে ফলো না করলেই পারেন।’
নায়িকা উল্লেখ করেন, ‘যারা আমার ওয়ালে এসে বিরূপ মন্তব্য করেন তারা আবার দেখি আমার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে, পেজ চালিয়ে, আমার পোস্ট করা ছবি/ভিডিও নিয়ে আবার ব্যবসা করেন। আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, রমরমা ব্যবসা করছেন, তা করেন; কিন্তু আমার এখানে এসে ভণ্ডামি করছেন কেন? কেনই বা সংঘবদ্ধ হয়ে খারাপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন? এদের আবার কেউ কেউ আমাকে আড়ালে চলে যেতে বলেন, হাহাহা। এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ এসব জ্ঞান দেয়। আমি আড়ালে চলে যাব না প্রকাশ্যে থাকব তা আমি বুঝব।’
সবশেষ শাবনূর লেখেন, ‘অন্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, আচার ব্যবহার, কথা বলার ভাষা; এইসব ব্যাপারগুলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় বহন করে। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা যেন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। সবাই ভালো থাকবেন।’