রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৩৬:৩১

জানেন ‘গরিবের ডাক্তার’ এজাজ এখনও কত টাকা ভিজিটে রোগী দেখেন?

জানেন ‘গরিবের ডাক্তার’ এজাজ এখনও কত টাকা ভিজিটে রোগী দেখেন?

বিনোদন ডেস্ক : দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ। হুমায়ুন আহমেদের নাটক ও সিনেমা দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন পর্দায়। তবে অভিনয় তার পেশা নয়।

পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশের মাধ্যমে ডা. এজাজ তার চিকিৎসা জীবনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি নিরলসভাবে সাধারণ মানুষের সেবা করে আসছেন।

ডা. এজাজের জীবনের অন্যতম বিশেষ দিক হলো তার সততা এবং অর্থের প্রতি অনাগ্রহ। যে কারণে তার সুখ্যাতিও রয়েছে মানুষের কাছে। তিনি অল্প টাকায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারণে ‘গরিবের ডাক্তার’ বলেও  পরিচিত। তিনি মনে করেন, সেবাই চিকিৎসকের প্রধান লক্ষ্য।

তাই তিনি নিজের চেম্বারে মাত্র ৩০০ টাকায় রোগী দেখেন এখনও। এছাড়াও অর্থের প্রতি লোভ বা অতিরিক্ত উপার্জনের আকাঙ্ক্ষা তাকে কখনও প্রভাবিত করতে পারেনি। তার মতে, অকারণে টাকার পেছনে ছোটার নেশা একটি মানসিক রোগ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ডা. এজাজ। অভিনেতা বলেন, ‘আমার ভিজিট এখনও তিনশো টাকার বেশি বাড়াইনি।

আমার যখন প্রোমোশন হলো, তখন আমার স্টাফরা আমাকে বলল, আপনার জুনিয়র চিকিৎসকরা আপনার চেয়ে বেশি ভিজিট নেয়, আপনি তো আরও বিশেষজ্ঞ। এত কম ভিজিট নিলে তো মানুষ সন্দেহ করবে, মান সম্মান থাকবে না! আমি বললাম, সন্দেহ করার তো কিছু নেই।’
এজাজ আরও বলেন, ‘এরপর যখন ৫০০ টাকা ভিজিট নেওয়া শুরু করলাম, তখন আমার মনে হলো যে, ৫০০ টাকা দিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ওদের! আমি দুদিন পর্যন্ত নিলাম। পরে স্টাফদের ডাক দিয়ে বললাম, ভিজিট তিনশো টাকাই থাকবে এবং এটা আমৃত্যু।’

অভিনেতা বলেন, ‘আমি খেতে পরতে পারি, চিকিৎসার খরচ টানতে পারি, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচটাও আল্লাহ চালানোর সুযোগ দিয়েছেন। তো, খারাপ কি! এর চেয়ে বেশি টাকার তো আমার মনে হয় না প্রয়োজন আছে। একজন মানুষ কেন এত টাকার পেছনে ছুটবে, এত টাকার কেন তার প্রয়োজন হবে। আমি মনে করি অকারণে টাকার পেছনে ছোটার নেশা একটি মানসিক রোগ।’

ডা. এজাজুল ইসলাম নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে তার নাটকে আগমন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এর পর তিনি ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন। সর্বশেষ শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে