বিনোদন ডেস্ক : একটি প্রসাধনীর দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও এলাকাবাসীর চাপের মুখে সেটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার পরদিনই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত আজ রবিবার এই আদেশ দেন। টাঙ্গাইলের ঘটনা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘যে যা মন চায় করুক।
যা মন চায় ভাবুক—এসব নিয়ে আমি কিছুই ভাবতে চাই না। আমার কোনো কিছুতে সমস্যা মনে হলে আমি কথা বলবই। আমার গায়ে লাগলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। সবার মতো আমি চুপ করে থাকতে পারি না।
যেকোনো অন্যায় নিয়ে আমি কথা বলছি। এই অন্যায় নিয়ে কথা বলার কারণে আমাকে যদি বারবার জেলে যেতে হয়, আমি গেলাম। আর কী করব। কিছু হলেই জেলে পাঠাবে, তাহলে তো দেশের কেউ কথাই বলবে না।
সবাই বোবা হয়ে থাকবে? আমৃত্যু আমি অন্যায় দেখলে কথা বলব, যা আছে কপালে।’ এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নায়িকা।
এরপর তিনি বলেন, ‘ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল।
সে হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছিও।’
আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি, যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছুই করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।’
এরপর তিনি বলেন, ‘পরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাই অনবরত ফোন করছে, খোঁজখবর নিতে। এটা তো আমার জন্য বাড়তি একটা যন্ত্রণা। বিব্রতকরও। উটকো ঝামেলা বলতে পারেন।’
কোনোভাবেই ভীত নয় জানিয়ে এই নায়িকা আরো বলেন, ‘এখানে ভয়ের কিছু নেই। আমি আইনিভাবে মোকাবেলা করব। জামিনের জন্য আবেদন করবেন আমার আইনজীবী।’