বুধবার, ০২ মার্চ, ২০১৬, ১১:২৯:২৩

মান্নার শেষ ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত পাঠক, যা বললেন ফেসবুকে

মান্নার শেষ ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত পাঠক, যা বললেন ফেসবুকে

সীমান্ত প্রধান : বাংলাদেশের অসম্ভব রকমের জনপ্রিয় একজন নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। যিনি বাংলাদেশের ছবির জন্য ছিলেন একজন সত্যিকারের রাজপুত্র। কিন্তু তার অকাশ মৃত্যুতে যখন দিশেহারা ঢাকা ফিল্মপাড়া, তখন নিজের মেধা আর যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠে আসেন মান্না।

সেসময় বলা চলে বাংলা চলচ্চিত্রের ভঙ্গুর অবস্থা মান্নার হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। আর মান্নাও উঠে আসেন খ্যাতির শিখরে। তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। এরফলে তাকে বাংলা সিনেমার বাদশা উপাধি দিলেও ভুল হত না। সেই তিনিও অকাল মৃত্যু বরণ করেন। নেমে আসে চলচ্চিত্র পাড়ায় শোকের ছায়া। যা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, মান্নার মৃত্যুর দীর্ঘ আট বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার শেষ ছবি ‌‘লীলামন্থন’। ছবিটি ৫ বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর সম্প্রতি ছাড়পত্র পেয়েছে। যা আগামী এপ্রিলে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধর উপর নির্মিত মান্নার শেষ ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এমন সংবাদে মান্না ভক্ত অনুরাগিদের মাছে দারুণ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। শুধু মান্না ভক্তরাই নন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রেমীদের মাঝেও এ ছবিটি নিয়ে তুমুল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

‘অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মান্নার শেষ ছবি’ এই শিরোনামে গতকাল এমটিনিউজ টুয়েন্টিফোর একটি সংবাদ প্রকাশ করলে, পোর্টালটির ফেসবুক পেজে হামলে পরে সিনেপ্রেমীরা। অসংখ্য মন্তব্য করেন তারা সে নিউজটির মন্তব্য বক্সে। যার অনেকেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, মান্না বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা এতটা ভঙ্গুর হত না। আর বাংলাদেশের সিনেমা হল ভেঙে মার্কেটও হত না।

ফেসবুকে পাঠকের করা মন্তব্যগুলো থেকে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হল :

Md Abdul Kafi লিখেছেন, ‘মান্না যদি বেঁচে থাকত তাহলে বাংলাদেশের সিনেমা হল গুলো ভেঙ্গে মার্কেট তৈরি হত না’।

Md M H Mehedi লিখেছেন, ‘মান্না যদি বেঁচে থাকত তাহলে বাংলাদেশের সিনেমার এই করুণ পরিণতি হতনা’।

Manun Arman লিখেছেন, ‘ভাই অকালে কেন আমাদেরকে ফেলে চলে গেলে’।

Yasin Hossen লিখেছেন, ‘I miss you,, manna vai amar pereo naiok selo’।

Joy Sharif লিখেছেন, ‘Manna bhai khub monay poray apna k, janena ai vubonay ar konodin asben kina? sudhu rykhay galen apnr srethe, upodase ar apnr honesty.May goad bless you’?

এদিকে ‘লীলামন্থন’ ছবির পরিচালক জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২৫ তারিখেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে তুমুল জনপ্রিয় এই নায়কের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ছবিটি।

উল্লেখ্য, গত বছর ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে ছিলো ছবিটি। ২০০৫ সালে এর দৃশ্যধারণ শুরু হয়েছিলো ‘লীলামন্থন’-এর। এরপর ছবির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ করার পর মারা যান মান্না। এরপর ২০১১ সালে যাবতীয় কাজ শেষ করে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয় ছবিটি।

এরমধ্যে সেন্সের বোর্ডে কেটেছে আরো পাঁচ বছর। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সেন্সর বোর্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ঘুরতে ঘুরতে কেটে গেছে পাঁচ বছর। কারণ দুটি ‘আপত্তিকর’ দৃশ্য ও ‘স্পর্শকাতর’ সংলাপ থাকার অভিযোগে সেন্সর বোর্ড আটকে দিয়েছিল মান্না অভিনীত এ ছবিটি।

মান্না ছাড়াও এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন, মৌসুমী, পপি, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চু, মিশা সওদাগরসহ একঝাঁক তারকা।
২ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে