বিনোদন ডেস্ক : বাহুবলীকে হত্যার বিষয় নিয়ে উঠে আসছে একাধিক সম্ভাব্য কারণ। আর সে সব নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। কি কারণে বাহুবলীকে হত্যা করাহল? এমন সব সম্ভাব্য কারণ করণ নিয়ে চলছে আলোচনা। রইল তেমনই পাঁচটি উল্লেখ্যযোগ্য কারণ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের এপ্রিলের দিকেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘বাহুবলী’ সিনেমাটির দ্বিতীয় পর্ব। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। সম্রাট বাহুবলীকে কেন হত্যা করেছিলেন কাটাপ্পা— তা নিয়েও এখন জোর আলোচনা। বাহুবলীকে হত্যার সম্ভাব্য কতগুলি কারণ সামনে এসেছে, দেখে নিন একনজরে—
১. ভাল্লালদেবার ষড়যন্ত্রে রানি শিবাগামী বাহুবলীকে হত্যা করতে কাটাপ্পাকে নির্দেশ দেবেন। ভাল্লালদেবা ও বাহুবলী দু’জনেরই পছন্দ ছিল দেবসেনাকে। কিন্তু, দেবসেনা বাহুবলীর গলায় মালা দেয়াতে ভাল্লালদেবার হিংসা আরও বেড়ে যায়। ভাল্লালদেবা তার বাবার সাহায্যে কোনোভাবে রানি শিবাগামীকে ফাঁদে ফেলে কাটাপ্পাকে দিয়ে হত্যা করায়। কাটাপ্পা সিংহাসনের প্রতি অনুগত। সেখানে বসে থাকা যে ব্যক্তি তাকে যা নির্দেশ দেবে তা পালন করতে সে বাধ্য। তাই, বাহুবলীকে পছন্দ করলেও কাটাপ্পা তাকে হত্যা করবেন।
২. শিবাগামীকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করবেন ভাল্লালদেবারল বাবা। যাতে তিনি ভাল্লালদেবাকে সিংহাসনে বসাতে পারেন। শিবাগামী অতীত জীবনের কোনো ঘটনায় ভাল্লালদেবার বাবা এই ‘ব্ল্যাকমেল’ করবেন। যার কারণৈই রানি শিবাগামী বাহুবলিকে হত্যার নির্দেশ দেবেন।
৩. দেবসেনা ছিলেন রাজ ঘরনার বাইরের মেয়ে। বাহুবলী তাকে বিয়ে করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন রানি শিবাগামী। ভাল্লালদেবা ও তার বাবা কোনোভাবে শিবাগামীকে এই ঘটনায় উস্কানি দেয়, যার কারণে বাহুবলীর হত্যার নির্দেশ কার্যকর হয় এবং দেবসেনাকে বন্দি বানানো হয়।
৪. বাহুবলীকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ হন ভাল্লালদেবা। সে বাহুবলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার হুমকি দেন। যার কারণে বাহুবলী সিংহাসন ছেড়ে দেন ভাল্লালদেবাকে। এই সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত হন শিবাগামী। সিংহাসনেই বসেই কাটাপ্পাকে দিয়ে বাহুবলীর হত্যা করান ভাল্লালদেবা।
৫. কাটাপ্পা হয়তো বাহুবলীকে খুন করেননি, অন্য কারোর দোষ তিনি মাথায় পেতে নিয়েছিলেন, সে সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
০৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই