বিনোদন ডেস্ক : আনন্দবাজার ভুল সংবাদ ছাপিয়েছে। এমন দাবী করে ভারতের এই প্রভাবশালী পত্রিকাটির প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। শুধু ক্ষোভই নয়, একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে আনন্দবাজার পত্রিকাকে রীতিমতো ধবলধোলাই করেছেন বাংলাদেশের আলোচিত এই নায়িকা।
সম্প্রতি একটি ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার তােদের অনলাইন সংস্কারে পরীমনিকে নিয়ে একটি বিতর্কীত শিরোনাম করেন। পত্রিকাটি দাবী করেছেন, প্রয়োজনে স্বল্প বসনেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব।
শুক্রবার আনন্দবাজার তাদের অনলাইন সংস্করণে পরী মনির সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। এছাড়া সাক্ষাৎকারের ভেতরে বেশ কয়েকটি অংশে বাংলাদেশের দর্শক ও ভক্তদের কিছুটা খোঁচা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরী মনি।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, এতদিন শুনে এসেছি তারা নাকি ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক। তাদের কাছে প্রত্যাশাটাও অনেক বেশি থাকে পাঠকের। কিন্তু আমার সংবাদটি যেভাবে পরিবেশন করেছে তা মোটেও উচিত হয়নি। আনন্দবাজারের কাছে এটা আশা করিনি।
অনস্ক্রিনে স্বল্প বসনের বিষয়ে তিনি বলেন, যে আমি অভিনয় শিল্পী। চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে খুনি , পুলিশ , ডাক্তার , গোয়েন্দা এবং যদি স্বল বসন প্রয়োজন হয় আমি পরতে পারবো। তার মানে এই দাঁড়ায় না যে আমি ওই স্বল্প বসনই পরবো। এমন "যদি "প্রশ্নের উত্তর শিরোনাম হওয়া আসলেই দুঃখজনক। জানিনা, ভারতের পত্রিকা আমাদের বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে দুকলম হিজিবিজি লিখে এরকম অস্বস্তিকর অবস্থায় কেন ফেলে দেয়!
আনন্দ বাজারে প্রকাশিত সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয় সম্প্রতি ইসমাইল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে বলে তার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল সেই বিষয়ে।
এই প্রসঙ্গে পরী মনি স্বদেশীদের হিংসুটে হিসেবে উল্লেখ করেন পরীমনি। তার সাফল্যে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে কেউ এমনটি করছে বলে আনন্দবাজারকে বলেন, বাংলাদেশের কিছু মানুষ আসলে খুব হিংসুটে।
এই বিষয়ে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আমি সেই বেজন্মাকে হিংসুটে বলেছি যে হিংসার বশে আমার নামে মিথ্যা নোংরা খবর রটেছিলো। তার মানে এটা দাঁড়ায় না যে আমি আমার বাংলাদেশের মানুষকে হিংসুটে বলেছি। আর যেটা শিরোনাম করেছেন সেটা ছিল যদির উপর ভিত্তি করে। ধরুন, যদি আমি এখন প্রধানমন্ত্রী হই তাহলে। সূত্র : ইত্তেফাক
৫ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন